সরস্বতী [খণ্ড-১] | Saraswati [Vol. 1]

সুচনা ৫ কত কালের তাহা কেহ হিসাব করিয়৷ বলিতে পারে না। মানুষের বুদ্ধিবত্তি যত কালের, বিজ্ঞানও ততকালের। মানুষ বৃুদ্ধিবৃত্তির সাহায্যে যাহা পর্য্যবেক্ষণ করে, তাহা হইতে সে যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, Stats তাহার বিজ্ঞান। বুদ্ধিবৃত্তি যত পরিপক্কত| লাভ করে, বিজ্ঞানও তত উন্নত হয়। এক সময় মানুষ যাহার চাঞ্চল্য দেখিত তাহারই প্রাণ আছে বলিয়। মনে করিত । তখন মানুষের কাছে বায়ুর চৈতন্য ছিল ; চন্দ্র, স্থ্্য, গ্রহ নক্ষত্রাদিরও চৈতন্য ছিল। তখন মামুযের মনের যেরূপ অবস্থা ছিল, তাহার বিজ্ঞানেরও সেইরূপ অবস্থা ছিল। এখন মানুষের মনের অবস্থার সহিত বিজ্ঞানের উন্নতি হইয়াছে মাত্র; কিন্তু তখন বিজ্ঞান ছিল না, এখন বিজ্ঞান হইয়াছে, এ কথা বল! যাইতে পারে না। যাহা হউক, বিজ্ঞানের আলোচন! করিতে গিয়া, মানুষ ঈশ্বর হইতে তফাৎ হইয়া! পড়িয়াছে। লোকে বলে আশা মায়াবিনী । আশা মানুষকে প্রবঞ্চনা করে, সত্য কথা বলে না। কিন্তু ঈশ্বর মানুষকে যাহ দিয়াছেন, otal তিনি মানুষকে প্রবঞ্চনা করিবার জন্য দেন নাই। ঈশ্বর মানুষকে যাহা দিয়াছেন, মানুষ তাহার অযথা ব্যবহার করে বলিয়াই, মানুষ আপনিই প্রবঞ্চিত হয়। আশা মানব-মনের এমন একটা কিছু, যাহা মানব-মন হইতে বাদ দিলে মানব মরিয়া যায়। এমন যে জিনিস তাহা কখনই বৃথা WS হয় নাই। মানব-মনে আশার কার্য্য আছে ও কার্য্যের সার্থকতা আছে। পরকাল ও ঈশ্বরের ধারণার জন্যই আশা Ww হইয়াছে। আশার আর কোন কাজ নাই | আমরা আশাকে টানিয়। যখন অন্য দিকে লইয়া যাই, তখনই প্রবঞ্চিত হই । একের কাজ Gray দ্বারা হইতে পারে ali মানুষ সকল যন্ত্রণা AB করিতে পারে, সকল বিপদের সম্মুখীন হইতে পারে, যদি তাহার ঈশ্বর ও পরকালে বিশ্বাস থাকে। এই ্বালা-যন্ত্রণাময় সংসারে, এই অত্যাচার ও মৃত্যুভয়-প্রপীড়িত জগতে, আশাকে বক্ষে ধারণ না করিয়] মানুষ বাচিতে পারে না। কে সম্পূর্ণ নৈরাষ্ঠযে' জীবন ধারণ