কথা কল্পনা কাহিনী [স্তবক-২] | Katha Kalpona Kahini [Stabak-2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
fe! অর্থাৎ অতিরিক্ত পুরুষ-পংসর্গের লক্ষণ । আরও লক্ষ্য করলেন-_ ওঁর চোখে চোখ রাখতে পারেন না বা চান না ওঁর স্ত্রী, নৈকট্য এড়িয়ে চলেন প্রাণপণে । আগে স্বামীর কাছে এলে অবজ্ঞা প্রকাশ পেত অনঙ্গলেখার, এখন ভাবভঙ্গিতে স্পষ্ট বিরক্তি ফুটে ওঠে | সচেতন হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই সক্রিয় হয়ে উঠলেন দুর্লভবধন | তারপর আর সংবাদ-সংগ্রহে বিলম্ব হবে কেন ? সন্দেহ বিশ্বাসে পরিণত হতেও কোন বাধা রইল না | অন্ত:পুরে ওঁর যে সব বেতনভুক্‌ সংবাদ- সরবরাহকারিণীর দল ছিল-_তাদের Pi ও রসনার জড়তাতেই apy জানার তা জানা হয়ে গেল । পুরুষটি কে তাও বুঝতে দেরি হল না, Bias কাশ্মীর/ধিপতির সুদ্ধাস্তংপুরে মাত্র তিন চারটি পুরুষেরই গতিবিধি ছিল | তাদের ভবনে চর নিয়োগ করতেই মহামাত্যর সম্দেহজনক নৈশ গতিবিধির কথা জানা গেল ৷ বাকীটুকু জেনে নিশ্চিন্ত হলেন--কন্কর মুখে অপরিসীম তৃপ্তি ও চোখে অ-রাজনীতিকস্ুলভ স্বপ্নাচ্ছন্নত! দেখে | অনঙ্গলেখা বেশির ভাগ সময়ই রাজপ্রাসাদে থাকতেন-_মাসে প্রায় কুড়িদিনই ৷ ইদানীং সেটা ত্রিশদিন দাড়াতেও তাই অত সন্দহের কারণ ঘটে নি | এখনও সে ব্যবস্থায় কোন খোঁচা দিলেন না প্রচ্ছাদিত্য। বরং সেই নিশ্চিন্ততার স্থুযোগ নিয়েই আজ অনায়াসে সম্ভপণে এসে একেবারে স্ত্রীর শয়নকক্ষে উপস্থিত হলেন | রাত্রি তৃতীয় প্রহরের দ্বিতীয় পাদে | দ্বারী TRA কেউ বাধা দেবে না, কারণ তার৷ সকলেই অনুগত | তাছাড়াও র।জকার্য শেষ করে গভীর রাত্রে স্ত্রী'র শয়নকক্ষে যাওয়া একেবারে নতুন নয়। নিঃশব্দে ঢুকেছিলেন প্রজ্ঞাদিত্য ৷ দীপাধারে প্রদীপের সামান্য আলো, তবু অন্ধকারে অভ্যস্ত দৃষ্টিতে প্রায় এক নজরেই সবটা দেখে নিয়েছিলেন | দুজনেই ক্লান্ত হয়ে ঘুমোচ্ছেন ৷ কন্কের বাম বাহুতে অনঙ্গলেখার মাথা, তার চোখের কোলে Bila কালিমা--অত্যুজ্জল রক্তাভ chat সে কালিমা গভীরতর দেখাচ্ছে, অনাবৃত স্বর্মকন্যাদুর্লভ বক্ষে নখর-কিণান্ক, ললাটে তখনও বিন্দু বিন্দু আস্তিস্বেদরেখা। অঘোর অচৈতন্য হয়ে ঘুমোচ্ছেন Tae সৈনিকের মতো 1... উদ্মত্ত ক্রোধে দিগ্বিদিকজ্ঞানশুন্য হয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু সে কয়েক 4



Leave a Comment