বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
32 MB
মোট পৃষ্ঠা
394
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)এই গানে সাধকের MST হইতে যে অভিমান উৎসারিত হইতেছে, তাহার মূলে আছে
বিশ্ব-জননীর সঙ্গে তদাত্মাহুভূতি; এ অনুভূতির নিবিড়তা ঈশ্বরচন্ত্রের কবিতায় কোথায়? wie গুপ্ত 'শ্রীরষ্ণের স্বপ্ন-দর্শন', Agra প্রতি রাধিকা', 'সধীর প্রতি রাধিকা”
প্রভৃতি যে কয়েকটি কবিতা লিখিয়াছেন, তাহাতে .'মহাজন-পদাবলী' অপেক্ষা কবিগানের
প্রভাবই বেশী লক্ষ্য কর! যায়। যেখানে AHA প্রতি রাধিকা বলিতেছেন-_ “আমি হে গোপের বধূ বচনে NEF মধু
রসিক নাগর বঁধু পাছে মই চটে গো |
ey এই BRAT পুনম পরশ' সম পরশে হই যে সোনা, বটে কিনা! বটে গো w দেখানে কি আমরা মহাজন-পদাবলীর মহাভাবময়ী রাধিকাকে দেখিতে পাই ? ভক্তের
হৃদয়-সিংহাসন Das রাধিকার যে ভাব-মূতি প্রতিষ্ঠিত, এই পঙ.ক্তিগুলিতে উহ! যেন চূর্ণ
wea যায়। কিন্তু যখন লীরাধিকা বলেন-- “ভালবাসে যেবা যাকে যতনে গোপনে রাখে
মহাদেব মন্দাকিণী ধরিয়াছে জটে গো |
আর কি sicaca ভুলি তুলিয়া প্রণয়-তুলি লিখিয়াছি কাল রূপ মম মন-পটে গো ॥
তখন সত্যই প্লেমময়ী রাধিকার অস্তরের একখানি ছবি আমাদের মানস-পটে উদঘাটিত হয়।
যাহা হউক, বৈষ্ণব মহাজনগণের অথবা শক্তিসাধকগণের অঙ্ভূতির গভীরতা ঈশ্বরচন্দ্র.
ছিল না, কেন না, ঈশ্বরচন্দ্র সাথক ছিলেন না, কোনরূপ সাধনায় সিদ্ধিলাভ করা তো দূরের
FU | রামপ্রসাদের মত ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ও আগমনীর গান রচনা করিয়াছেন, শুধু ঈশ্বরচন্দ্র
গুপ্ত কেন,__দাশরথি রায়, রাম Ty, হরু ঠাকুর, Aer কথক প্রভৃতি কবি ও পাচালিওয়ালাগণ,
এমন কি, আধুনিক অনেক কবি পর্যন্ত আগমনী ও বিজয়ার গান রচনা করিয়াছেন কিন্তু
রামপ্রসাদ্বের আগমনী গানে CAVA জননীর VI হইতে ছুগ্ধধারার ary বাৎসল্য-রস যেমন
সহজে ক্ষরিত হইতেছে, PUI গুপ্তের বা অন্য কোন কবির গানে তাহা হয় নাই, এমন কি,
সাধক কমলাকান্ত পর্যন্ত রামপ্রসাদের সঙ্গে SS হইতে পারেন নাই, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত তো
দূরের কথা |
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের কবিতার অশ্লীলতা-সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্র যাহা বলিয়াছেন, তাহা সত্যই গভীর অস্তদৃষ্টির পরিচায়ক see ধর্মে ও রাজনীতিতে ঈশ্বরচন্দ্রের উদার দৃষ্টিভঙ্গির
প্রশংসা করিয়াছেন। ধর্মে উদারতা কিন্তু একমাত্র ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তেরই বৈশিষ্ট্য নয়। যে দেশের.
সাধক-কবি রামপ্রসাদ গাহিয়াছেন-_ “কালী হলি মা রাসবিহারী নটবর-বেশে বৃন্দাবনে”,
যে দেশের ভাবধারায় পুষ্ট হইয়া বিদ্বেশী কবিওয়ালা গাহিয়াছেন--_ ‘Ore wis কবষ্ণে কিছু ভেদ নাই রে ভাই”,
যে দেশের সাধক রামদুলাল গাহিয়াছেন-_ “জেনেছি জেনেছি তাঁরা তুমি জান ভোজের বাজী, যে তোমায় যে ভাবে ডাকে তাতেই তুমি হও মা রাজী'
সে দেশে ঈশ্বরচন্জ্রের উদার ধর্মমত তেমন-কিছু উল্লেখযোগ্য Cres বলিয়া! মনে ey তেরো