For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)মূল নিবন্ধকারের অভিভাষণ ৩ দিয়ে উঠে কংগ্রেসী এম.এল.এর হাত থেকে চিঠিটি কেড়ে নিয়ে SPSS করে ছিড়ে
ফেলে দিলেন। ছাত্ররা জয়ধ্বনি করে উঠলো। সন্ধ্যার মুখে মুখে পুলিশ কমিশনার এসে ছাত্রদের বল্ল তোমরা মিছিল ভেঙ্গে দিয়ে
চলে যাও, নইলে আমরা গুলি চালাবো ছাত্ররা উঠে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিল যে তারা ফিরবে
না, বর্জগর্জন উঠল “চল চল ড্যালহাউসী চল, দিল্লি চল” “আজাদ হিন্দ ফৌজের মুক্তি
চাই” “সাম্রাজ্যবাদ HANS” | আচমকা গুলি চালাতে শুরু করল পুলিশ, আর ঘোড়ার
আক্রমণ ছাত্ররা পালাল না, হাতের কাছে যা পেল ভাঙ্গা ইট, সোডার বোতল তাই ছুঁড়ে
প্রতিরোধ করতে লাগল। তাদের সঙ্গে যোগ দিল ঝালাই দোকানের মুসলিম তরুণেরা
পুলিশের গুলিতে ও ঘোড়ার আক্রমণে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ল বেশ কয়েকজন ছাত্র ও
মুসলিম নও জোয়ান । প্রেসিডেন্সী কলেজের ছাত্র রামেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় (সে কোন ছাত্র
সংগঠনের সদস্য বা কোন দলভুক্ত ছিল না) গুলিতে নিহত aa | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর
কলকাতার সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণবিদ্রোহের রামেশ্বরই প্রথম শহীদ তার একটু দূরেই
গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেল মুসলিম জঙ্গী নওজোয়ান আবদুস সালাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছাত্র (পরে প্রসিদ্ধ গায়ক ও গীতিকার) সলিল চৌধুরি সেই মিছিলে ছিল। পরে সে গান
বেঁধেছিল। “রামেশ্বর শপথ তোমার, ভুল না ধর্মতলা, সালাম ভাই শপথ তোমার ভুল
না ধর্মতলা, ভুলনা তোমার মিছিলে মিছিল পতাকা পতাকা মেলা, ভুল না তোমার গর্জন
সাম্রাজসাহী ছুঁশিয়ার! চল চূর্ণ করি এ জীর্ন কারাগার।” মাস দুই পরে কবি সুভাষ
মুখোপাধ্যায় কমিউনিষ্ট পার্টির মুখপত্র দৈনিক “স্বাধীনতা” কবিতা লেখেন “রক্তের ধার
রক্তে শুধবো কসমভাই ভারত জোড়া এই রক্ত গাঙ্গের আজ জবাব চাই। পরে এই
কবিতাতে সুর দিয়ে গান গেয়েছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস ও See মুখোপাধ্যায়। ছাত্ররা কেউ বাড়ি গেল না। সারারাত ধর্মতলা Bo ACH রইল ৷ কমিউনিষ্ট, পাটির
ডাকে ট্রাম, বাস, রিক্সা ধর্মঘট হয়ে গেল। বিভিন্ন হষ্টেল থেকে ছাত্ররা রাত্রে এসে রাস্তায়
বসে থাকা ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দিলেন। দুজন কংগ্রেসী মহিলানেত্রী সারারাত বসে
রইলেন ছাত্রদের সঙ্গে -- জো্যোতির্ময়ী গাঙ্গুলি ও বিমল প্রতিভাদেবী। মায়ের মত সেবা
করতে লাগলেন আহত ছাত্রদের প্রাক্তন বিপ্লবী নেত্রী বীনা দাসও এসেছিলেন ছাত্রদের
সঙ্গে কিছুক্ষণ বসেছিলেন। শতাধিক আহত ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন কমিউনিষ্ট ছাত্র কর্মী
অরুণ সেন। তাঁর পেটের মধ্যে দিয়ে গুলি চলে গিয়েছিল। সরকারি হিসেবে ২০/২১
জন ছাত্র ও নও জোয়ান মারা গিয়েছিলেন, বে-সরকারি হিসেবে অনেক বেশী। শরৎবসুর ফিরে যাবার পরামর্শ শুনে কয়েকজন ছাত্রনেতা য়িছিল ছেড়ে চলে
গেলেন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কমিউনিষ্ট বিরোধী প্রধান জাতীয়তাবাদী ছাত্র নেতারা কিন্তু
চলে গেলেন না অনেকে। রাস্তায় বসে থাকা ছাত্রদের সঙ্গে বসে রইলেন ছাত্র