ইতিহাস অনুসন্ধান ১৮ | Itihas Anusandhan 18

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মূল নিবন্ধকারের অভিভাষণ ৭ মুকুন্দরাম বলছেন “হাল পিছু এক তঙ্কা” কর বছরে দিতে হত ।** অন্যধরণের প্রথাও চালু ছিল বলে মনে হয়। এ সময়ের লেখক আবুল ফজল লিখছেন নজর প্রথা ছিল। অর্থাৎ চোখে দেখে কতটা ফসল উৎপাদন হচ্ছে সেটা স্থির করে সম্ভবত উৎপাদনের এক- তৃতীয়াংশ কর হিসাবে নেওয়া BS? গুঁতিহাসিক মোরল্যান্ড একে নাসক প্রথা বলে ধরেছেন, মূলত নাসক প্রথা আগেকার প্রথাই অপরিবর্তনীয় রাখে। ইরফান হাবিব দেখাচ্ছেন যে উত্তর ভারতে এটি ছিল মুঘল যুগের গোড়ার দিকে জাবতী প্রথার Ger) কিন্তু এটি কোনমতেই মুকদ্যমের সঙ্গে সমগ্র গ্রামের খাজনার বন্দোবস্ত নয়।** আবুল ফজলের লেখা থেকে পাওয়া যায় যে কৃষকরা বিভিন্ন কিস্তিতে সরাসরি নগদ টাকায় খাজনা দিচ্ছে।** এটি সম্ভবত খালিসা এলাকা বা সরকারী জমিতে প্রযোজ্য। অন্যরকম হলে জমিদার বা তালুকদারের কাজ বদলে যাবে। এছাড়া কৃষকের পক্ষে নগদ রূপোর টাকা বা মোহরে খাজনা দেওয়া সম্ভব নয়, শিকদার এই খাজনা সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করতেন। মুঘলরা দুয়েক জায়গায় জমি জরীপ করা শুরু করলে সে কাজও তিনি PMSA | ইবনে বতুতা শস্যভাগ করার কথা বলেছেন এবং বাংলায় যে এ সময়ে উত্তর তারতের তুলনায় পণ্যের মূল্যমান অত্যন্ত কম ছিল, মূল্যের তালিকা দিয়ে তিনি সেটা বুঝিয়েও দিয়েছেন।** সারা মধ্যযুগ ধরেই উত্তর ভারতের তুলনায় বাংলায় পণ্যের মূল্যমান অনেক কম ছিল। মুহম্মদ আবদুর AAT? প্রাক-সুলতানী যুগের বাংলার কড়ি ও টাকার (wa) মূল্যমানের সঙ্গে ইবনে বতুতার দেওয়া মূল্যমানের তুলনা করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে রূপোর তুলনায় কড়ির মূল্যমান সুলতানী বাংলায় প্রায় ছয়গুণ কমে গিয়েছে যার জন্য তিনি বেশি রূপোর আমদানিকে সঙ্গতভাবেই দায়ী করেছেন। বলা বাছল্য এই রূপোর আমদানি বাণিজ্যর ফলে হয়েছিল। অবশ্য একটা প্রশ্ন থেকে যায় রহিমের পদ্ধতি মেনে নিলেও | দেড়শ বছর ধরে বাংলাতে এই পরিমাণ রূপো এলে পণ্যর দাম উর্ধমুখী হওয়ার কথা কিন্তু সেটা হয়নি। মজুরীর বিষয়টি ধরলে এটি হয়ত পরিষ্কার হতে পারে। আবুল ফজল উত্তর ভারতে MAT হার দিয়েছেন। এর থেকে দেখা যায় যে TTT মুজুরী ছিল বছরে আঠার টাকার সমান (অবশ্য এই হার আবুল ফজল তামার মুদ্রা দামে দিয়েছেন এবং রহিম সেটি টাকায় পরিবর্তিতকরেছেন)।** ইবনে বতৃতার লেখা থেকে দেখা যায় যে বাংলায় তিনজন লোক বছরে সাত টাকায় প্রযোজনীয় জিনিষ কিনে সুখে বাস করতে পারত ।”* এর আড়াইশ বছর পরে এই মূল্যমান দ্বিগুণ বা তিনগুণ হলেও 2 ধরণের পরিবারের অসুবিধা হবার কথা AH | অসুবিধা হচ্ছে এই যে ত্রয়োদশ শতাব্দীর বাংলার মজুরীর হার আমরা জানি না এবং অদক্ষ শ্রমিকের ক্রয়ক্ষমতা কি ছিল, তাও জানি না। এর সঙ্গে আর একটা প্রশ্ন জড়িয়ে আছে। সেটি হল চতুর্দশ শতাব্দীতে বাংলায় টাকার প্রচলন কিরকম ছিল। সাধারণ কথায় বলতে গেলে দাঁড়ায় যে বাংলার এই মূল্যমান সাধারণ লোকেদের কাছে বেশি বা কম বলে মনে হয়েছিল কি না। ইবনে বতুতা বলছেন



Leave a Comment