সমালোচনা-সাহিত্য-পরিচয় | Samalochana-sahitya-parichay

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভূমিক| e/e সৌকর্ষের ay টাকা-জাতীয় আলোচনমনাই wees রামায়ণ ও মহাভারতকে যে শেষ্ঠ কাব্যের TAM দেওয়া হইয়াছে তাহা সমালোচকের নিকট স্বতঃসিদ্ধ, বিচারাতীত সত্য । কেবল চরিত্রায়ণের আদর্শ ও নীতিবোধের সমুন্নতির উদাহরণ আহরণের জন্যই বিদগ্ধ পাঠক উহাদের উল্লেখ করিবেন, উহাদের কাব্যোৎকর্ষ প্রতিপাদনের প্রয়োজনীয়ত। তিনি স্বীকার করেন না। সমালোচনার ফলই হইবে মতভেদস্ঞষ্টি। কিন্তু শ্রেষ্ঠ সাহিত্যের state সার্বভৌমরুচি-সমথিত | এইজন্যই আর্ধষনাহিত্যে আধুনিক রীতির মততেদ- কণ্টকিত, রুচিভেদজাত, বিপরীতমুখী আলোচনার অভাব। এই প্রসঙ্গে লেখক শ্রীজীব গোস্বামীর পরমাত্মসন্দর্ত হইতে কাব্যবিচারের যে মানদণ্ডাত্মক শ্লোক উদ্ধৃত করিয়াছেন তাহা বাস্তবিকই আধুনিক আদর্শের সহিত চমৎকার- ভাবে সঙ্গতিপূর্ণ। দুঃখের বিষয়, এই জাতীয় সমালোচনার নিদর্শন আমরা সমগ্র সংস্কৃতসাহিত্যের মধ্যে পাই না। প্রবন্ধকার ফলশ্রুতিকে ধর্ম ও সমাজনীতির অনুসারী Saal করিয়া সক্ষীর্ণতারই পরিচয় দিয়াছেন | “TBR চৌধুরীর 'সমালোচন” প্রবন্ধে ইহার বিপরীত a পরিপূরক মত প্রকাশিত হইয়াছে । সমালোচনা পরিণত মননের প্রকাশ। প্রবন্ধকার সমালোচনার প্রয়োজন ও উপকারিতা স্বীকার করিয়াছেন । হয়ত প্রতিভাবান লেখকের পক্ষে সমালোচমার সহায়ত। নিষ্রয়োজন, কিন্তু যাহারা প্রতিভার অধিকারী a হইয়াও গ্রন্থ -রচনায় waa বা যাহারা শিক্ষামবীশ লেখক তাহাদের পক্ষে সমালোচন৷ যে অত্যাবশ্যকীয় তাহা নিঃসন্দেহ caw প্রতিভাবান লেখক আছেন, তেমনি প্রতিভাবান সমালোচকেরও অসদ্ভাব নাই এবং সাহিত্যমাধনায় পথনির্দেশের দায়িত্ব তাহাদের উপর ন্যস্ত করা উচিত। নিন্দা, প্রশংসা ও আদর্শনির্দেশ-__সমালোচকের এই fata কর্তব্য । সমালোচকের সহায়তা ব্যতীত সাধারণ পাঠক সাহিত্যের রস উপভোগ করিতে পারেন না। লেখক মনে করেন যে “কাব্যাদির প্রধান উদ্দেশ্য শিক্ষা, আনন্দবোধ তাহার আঙুষঙ্গিক অবস্থা মাত্র” ও সমালোচনা] কাব্যের এই শিক্ষাপ্রদ দিকটাই পরিস্ফুট করে। আধুনিক কলা-কৈবল্যবাদের যুগে এই মত যে বিশেষ আদরণীয় হইবে না ইহ সহজেই অঙ্গুভবগম্য। এবং সমালোচনার প্রধান কাজ রসবোধের সহায়ক না হইয়া শুধু শিক্ষার পোষক



Leave a Comment