লঘু সিন্ধান্ত কৌমুদী | Laghu Siddhanta Kaumudi

সম্ভবতঃ এইজন্য যে বাক্যরচনা করতে হলে কর্তৃপদ কর্মপদ ব্যবহার করার পরে Sou ক্রিয়ার আবশ্যকতা। বর্তমান কালেও সংস্কৃত শিক্ষকগণ AP, শব্দরূাপের পরে ধাতুরূপ মুখস্থ করিয়ে থাকেন। বরদরাজ তিঙস্তপ্রকরণকে এই স্থানে নিয়ে আসায় নবীন শিক্ষার্থিবৃন্দ বাক্যরচনায় সমর্থ হবে এবং তাদের মনের ভাব প্রকাশের সামর্থ্য দেখে তারা আরও অগ্রসর হয়ে অন্যান্য প্রকরণে মন দেবে। বরদরাজ যে এই সংক্ষিপ্ত লঘুকৌমুদী রচনা করলেন তাতে তাঁর কৃতিত্ব কতটুকু,এ কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। তিনি কতকগুলি সূত্র বাদ দিয়ে তার মতে নবীনদের পক্ষে উপযোগী সুত্র নিয়েছেন এবং প্রকরণগুলিকে নতুনভাবে সাজিয়েছেন। তিনি যে সূত্রথ্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে তার স্বকীয়তা নেই কারণ প্রত্যেকটি সূত্রের ব্যাখ্যা ভট্টোজি দীক্ষিতের সিদ্ধান্তকৌমুদী থেকেই গৃহীত। সামান্য Wasi শব্দ বর্ণ বা পরিবর্তন ছাড়া তার ব্যাখ্যায় নিজস্ব বৈশিষ্ট্য কোথায়ও ফুটে ওঠেনি। কারক- বিভক্তি এবং সমাস প্রকরণ Gory সংক্ষিপ্ত হওয়ার faa পক্ষে সংস্কৃত ভাষার কোনও সরল গ্রন্থ NSS ক্লেশকর হবে। এখানে একটি কথা স্মরণ রাখা দরকার। তা হল ধরদরাজ কোথায়ও বলেন নি যে সংস্কৃতভাষা শিক্ষার জন্যও ব্যাকরণে পটুতা অর্জনের জন্য তিনি এই সারসংকলন করেছেন। যারা অন্য শাস্ত্র পাঠ আরম্ভ করতে যাচ্ছেন কিন্তু সংস্কৃতভাষা যাতে বাধক না হয় তার জন্য এই লৎঘুসিদ্ধাস্তকৌ€ু্দী রচনা করেছেন। ATH শেষে তার বক্তব্য। শাস্ত্রান্তরে প্রবিষ্টানাং বার্নাং চোপকারিকা। Fol বরদরাজেন লঘুসিদ্ধান্তকৌমুদী।। রুয়েকটি site বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ভট্টোজি দীক্ষিত সন্ধি আলোচনায় পাঁচটি প্রকরণ বলেছেন-_অচূসন্ধি, হল্সন্ধি, fife, স্বাদিসন্ধি এবং প্রকৃতিভাব। দীক্ষিত প্রকৃতিভাবকে অচূসন্ধির অস্তর্গত একটি অবাস্তর প্রকরণ রূপে গণ্য করেছেন। অনেকে প্রকৃতিভাবকে সন্ধিপ্রকরণের অস্তর্গত ব'লে ভাবতে চান না যেহেতু প্রকৃতিভাবে রয়েছে সন্ধির বিপরীত we সমন্ধিতে দু'টি অত্যস্ত সন্নিহিত বর্ণের পরস্প্রের প্রভাবে কখনও পূর্বেরটিতে কখনও বা পরেরটিতে বিকার হয়, কখনও বা দুয়ে মিলিত হয়ে অন্য বিকার হয় বা দুয়ে মিলে পূর্বেরটি থেকে যায় বা পরেরটি থেকে Wa! প্রকৃতিভাবে এমন কোনও পরিবর্তন যখন হয় না তখন এটিকে সম্বিপ্রকরণের মধ্যে গ্রহণ করা যায় না। এই মত আপাতগ্রাহ্য হলেও আরও চিত্তনীয় আছে। সন্ধিতে বিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও যখন বিশেষ পরিস্থিতিতে এই বিকার হয় না তাও তো সন্বিপ্রকরণ শিক্ষার সময়েই শেখা উচিত। অন্যথা জ্ঞানটি