নদীয়া জেলার পুরাকীর্তি | Nadia Jelar Purakirti

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভূমিকা ৩ আবার, কাস্তিচন্ত্র alee 'নবদ্বীপ-মহিমা” এবং “নবদছীপ-তত্ব ATS উল্লেখ আছে যে, অস্তর্ছাপই প্রকৃত নবদ্বীপ এবং প্রাচীন নবদ্বীপ ও বর্তমান নবদ্বীপ শহর অভিন্ন এবং এখানেই গ্রীচৈতন্যদেব আবিদূত হন। ' কারও কারও মতে, গঙ্গাগর্ভ থেকে নতুন উত্থিত দ্বীপ অর্থে নব দ্বীপ থেকে ATA নামের উৎপত্তি । আর একটি মত--_এক তাস্ত্রিক রাত্রিকালে নয়টি দীপ ছেলে যে দ্বীপে সাধনা করতেন তার নাম হয় নবদীপ, যা থেকে নবদবীপ। এই একই কিংবদন্তীকে সামান্য পরিবর্তিতরূপেও পাওয়া যায় : নয়টি দিয়া (প্রদীপ) ছেলে এক তান্ত্রিক যে দ্বীপে সাধনা করতেন তার নাম মদীয়া (নয়+দিয়া)। বর্তমান নদীয়া জেলা এলাকার স্মপ্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে সঠিকভাবে বিশেষ কিছু জানা যায় না। এমন কি সমগ্র বঙ্গদেশ কখনও মৌর্য সাম্রাজ্যের অস্ততুক্ত ছিল কিনা তাও সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হয়নি। একমাত্র উত্তরবঙ্গের বগুড়া জেলার মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত মৌর্যযুগের shit অক্ষরে লিখিত লিপি ভিন্ন এ বিষয়ে আর কোন অকাট্য প্রমাণ অদ্যাপি পাওয়া যায়নি। গুণুযুগে সমতট স্বাধীন রাজ্য ছিল বলেই অনুমান করা হয়। কারণ, এলাহাবাদ স্তম্ভতলিপিতে সমতট প্রত্যস্ত রাজ্য নামে উল্লিখিত হয়েছে। গুপ্তযুগের বিশেষ কোন নিদর্শনও arin জেলায় পাওয়া যায়নি। een দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সময় বঙ্গদেশ সম্ভবতঃ গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধীনে আসে | স্কন্দগুপ্তের পরে গুপ্ত সাম্রাজ্যের ভাঙ্গন আরম্ভ হয়। বঙ্গদেশের বিভিন্ন স্থানে তখন স্বতন্ত্র রাজ্য গড়ে ওঠে । যষ্ঠ শতকের প্রথম দিকে দক্ষিণ ও পুর্ব বঙ্গে একটি স্বাধীন রাজত্ব প্রতিষ্টিত হয়। অদ্যাবধি আবিষ্কৃত ছয়টি তাম্রশাসন থেকে তিনজন নৃপতির নাম পাওয়া যায়- গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য এবং সমাচারদেব। তাঁরা সকলেই মহারাজাধিরাজ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের রাজত্বকা ছিল ৫২৫-৫৭৫ খ্রীষ্টাব্দ এই রাজ্যই ছিল বঙ্গরাজ্য। বর্তমান নদীয়৷ জেলার এলাকা এই বঙ্গরাজ্যের অন্তর্গত ছিল বলে মনে zai সে রাজ্যকে ভিত্তি করেই পরবর্তীকালের কর্ণস্মুরবর্ণ রাজ্য গড়ে ers Fa সপ্তম শতকে মহারাজ শশাঙ্ক কর্ণস্থববর্ণকে রাজধানী ক'রে গৌড় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। সম্ভবতঃ, আজকের নদীয়া জেলা এলাকা তার সাম্রাজ্যের Baye ছিল ices মৃত্যুর পর বঙ্গদেশে ব্যাপক্‌ অরাজকতা দেখা দেয়। সেই 'মাংস্তান্যায়ে'র অবস্থা থেকে উদ্ধার পাবার জন্য, আন্নমানিক



Leave a Comment