For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)পুস্তকাগারের বাধিক সভায় নূতন করিয়া বাঙ্গালার বৈষ্ণব পদকারদিগের কথা
শুনাইলেন, রমণীমোহন মল্লিক বিশেষ যত্ব-সহকারে বৈষ্ণব মহাজন পদাবলীর
সম্পাদনায় অবতীর্ণ হইলেন, এবং দীনেশচন্দ্র সেন তাঁহার “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য?
গ্রন্থের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত কবিলেন। ওদিকে ১৮৯৩ সালে বঙ্গীয়-সাহিত্য-
পরিষদ ও প্রতিঠিত হইল | এইভাবে শিক্ষিত বাঙ্গালী তাহার মাতৃভাষার প্রাচীন সাহিত্যের পুনরাবিষ্কার
করিল, এবং এই সাহিত্যেব এঁতিহাসিক ও কবিদুষ্টি-মম্পন্ন সমালোচবদেব
সহায়তায় fag সাংস্কৃতিক জীবনে এই প্রাচীন সাহিত্যের প্রতিটা কবিয়৷ লইল |
বাঙ্গাল! সাহিত্য Sa গবেষণা এখন উচ্চ শ্রেণার মানসিক SHA অন্তর্গত বলিয়৷
স্বীকৃত হইয়াছে--উচ্চ কোটির শিক্ষায়, কলেজেব শিক্ষায়, এতদিন পবে বাঙ্গালা
সাহিত্য তাহার যোগ্য সমাদবপুণ স্থান কতকটা পাইয়াছে। এই যোগ্য স্থানকে
আরও স্থদৃঢ কবিতে সাহায। কবিবে ABs “পদাবলী-পরিচয়” পুষ্তকখানি। রবীন্দ্র-পূব যুগের বাঙ্গাল! সাহিত্যের প্রণাম গৌরব যে বাঙ্গালার বৈষ্ণব
গীতিকবিতা, এবিষয়ে কোনও সন্দেহ ats সাহিত্য-সমাট্ বন্কিমচন্দ্র, পথিকৃৎ
কবি মধুস্থদন, এবং ae বিশ্বকবি বাক্পতি ববীন্দ্রনাথ, বৈষ্ণব গীতিকবিতার
মোহে পড়িয়া গিয়াছিলেন । ববান্সনাথ নিঙ্গে ces কতকগুলি পদ চয়ন করিয়া
'পারত্বাবলী” প্রকাশিত করেন, এবং তাঁহার ভাঙহসিংহ ঠাকুরের 'পদ্যাবলী' এই
বৈষ্ণব পদাবলী-দাহিত্যেরই অনুপ্রেরণার ফল । প্রাচীন বাঙ্গালা সাহিত্যে আর
যে কয়খানি শ্রেষ্ঠ শ্রেণীর রম-সর্জন। আছে, সেগুলি Sabi বিশ্বমানবের গ্রহণযোগ্য
নহে, যতটা বৈষ্ণব ও অন্য গীতিকবিতা । শ্রীক্ষষ্লাস কবিরাজের চৈতন্যচরিতা-
মৃতের দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক মূল্য অপরিমেয় , কবিকন্কণের ও অন্য মঙ্গলকাব্য-
রচয়িতাদের কাব্য-সুষ্টিতে মধ্যযুগের বাঙ্গালীর চরিত্রের ও সমাজের আদর্শ ও
আকাঙ্কার, আশা ও আশঙ্কার চিত্র প্রতিফলিত আছে; ate ভারতচন্দ্রের
কাব্যরদ শিক্ষিত বিদগ্ধ জনেরই উপযোগী ৷ কিন্তু বৈষ্ণব পদের মধ্যে, সহজিয়
বাউল প্রভৃতি গীতিকবিতার মধ্যে, নিখিল মানবের চিত্তমন্বনকারী রসবস্তব
বিদ্ছমমান। স্থতরাং আজকালকার বাঙ্গালা-সাহিত্যের অধ্যয়ন-অধ্যাপনায় যে
বৈষ্ণব পদাবলীর একটা বড় স্থান নির্ধারিত হইবে, তাহা বিচিত্র বা অনুচিত নহে ।