সংগীতচিন্তা | Sangeetchinta

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ীতচিন্তা আমাদের দেশে সংগীত এমনি stats, ব্যাকরণগত, অন্ষ্ঠানগত হইয়া পড়িয়াছে, স্বাভাবিকতা হইতে এত দূরে চলিয়া গিয়াছে যে, অন্নভাবের সহিত শীতের বিচ্ছেদ হইয়াছে, কেবল কতকগুলা স্থরসমঞ্ট্রির কর্দম এবং রাগরাগিণীর Ste ও কাঠামো৷ অবশিষ্ট রহিয়াছে; সংগীত একটি মৃত্তিকাময়ী প্রতিমা হইয়া পড়িয়াছে; তাহাতে হৃদয় নাই, প্রাণ নাই । এইরূপ একই ছাচে ঢালা, অপরি- বর্তনলীল সংগীতের জড় প্রতিমা আমাদের দেবদেবী মুত্তির স্যায় বহুকাল হইতে চলিয়৷ আসিতেছে ৷ সংগীতে এতখানি প্রাণ থাকা চাই, যাহাতে সে সমাজের বয়সের সহিত বাড়িতে থাকে, সমাজের পরিবর্তনের সহিত পরিবর্তিত হইতে থাকে, সমাজের উপর নিজের প্রভাব বিস্তৃত করিতে পারে ও তাহার উপরে সমাজের প্রভাব প্রযুক্ত হয় । সমাজবৃক্ষের শাখায় শুদ্ধমাত্র অলংকারস্বরূপে সংগীত নামে একটা সোনার ডাল বাধিয়া দেওয়া হইয়াছে, গাছের সহিত সে বাড়ে না, গাছের রসে সে পুষ্ট হয় না, বসস্তে তাহাতে মুকুল ধরে না, পাখিতে Stata উপর বসিয়া গান গাহে না। গাছের আর-কিছু উপকার করে না কেবল শোভা বর্ধন করে। State করে কি না বিচার্ধ। শোভাবর্ধনের কথা যদি উঠিল তবে তৎসম্বদ্ধে দুই-একটি কথা বলা আবশ্যক | খগীতকে যদি শুদ্ধ কেবল শিল্প, কেবল মনোহারিণী বিদ্যা বলিয়া ধরা যায়, তাহা হইলেও স্বীকার করিতে হয় যে আমাদের দেশীয় অন্ভাব -শূল্য সংগীত fase cata: চিত্রশিল্প ছুই প্রকারের আছে৷ এক-_ অঙ্ভাবপুর্ণ মুখী ও প্রকৃতির অঙ্ক্কতি, দ্বিতীয়-_ যথাযথ citer দ্বারা একটা নেত্র-রঞ্চকক আকুতি নির্মাণ করা। কেহই অস্বীকার করিবেন a যে, প্রথমটিই উচ্চতম শ্রেণীর চিত্রবিদ্যা। আমাদের দেশে শালের উপরে, নানাবিধ কাপড়ের পাড়ে, রেখাবিষল্যাস ও বর্ণবিস্তযাস ছারা বিবিধ নয়ন-রঞ্জচক আরক্বতি-সকল চিত্রিত হয়, কিন্তু শুদ্ধ তাহাতেই আমরা ইটালীয়দের ote চিত্র-শিল্পী বলিয়া বিখ্যাত হইব না। আমাদের সংগীতও সেইরূপ স্ক্রবিস্যাস মাত্র, যতক্ষণ আমরা তাহার মধ্যে অহভাব না আনিতে পারিব; ততক্ষণে আমরা উচ্চশ্রেণীর সংগীতবিৎ বলিয়া গর্ব করিতে পারিব না। অতএব স্বীকার করা যাক রাগরাগিণীর শ্রেষ্ঠ উদ্দেশ্য ভাব প্রকাশ করা। fre এখন তাহা কী geal দাড়াইয়াছে ? এখন রাগরাগিণীই উদ্দেশ্য হইয়া লাড়াইয়াছে ৷ যে রাগরাগিণীর হস্তে ভাবাটকে সমর্পণ করিয়৷ দেওয়া হইয়াছিল, &



Leave a Comment