For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)বর্ধমানের রাজা বিজয়চন্দ মহতাবের পূর্বপুরুষ ক্ষত্রি ছিলেন এবং মুঘল অভিযানের
সময়ে সাহায্য করার জন্য জমিদারি পান বলে বলা হয়। এদের সংখ্যা অবশ্য বেশি
ছিল না। বলা প্রয়োজন যে বিখ্যাত পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে আমরা বলছি
না। এ সময়ে ওঁর কাছে যে ইতিহাসের তথ্য ও মানসিকতার আবরণ ছিল উনি তার
ভিত্তিতেই লিখেছেন। আমরা শুধু দেখাতে চেষ্টা করেছি যে পরবর্তীকালের ইতিহাস
এ যুগ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে নূতন তথ্য ও নূতন মানসিকতার উনম্মেযষের ফলে।
১৯১৫ সালে ইংরাজদের লেখা ইতিহাস অধিকাংশ সময়ই সামাজ্য রক্ষার জন্য বিশেষ
আদর্শবোধ নিয়ে লেখা হয়েছিল তার ছাপ এখানে রয়েছে। শুধু এটুকু বলা যায় যে
বাংলার গৌরব বলতে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মুসলমানদের অবদানের কথার কোনো উল্লেখ
করেননি। এটি একটু বিস্ময়কর উনবিংশ শতাব্দীর শেষ থেকে বাঙালীর জাত্যভিমান যে বেড়ে চলেছিল তাতে
সন্দেহ নেই। ফলে বহু প্রাচীন গ্রস্থের দোহাই দিয়ে এতিহাসিক প্রবন্ধ লেখা হতে থাকে
যা বেড়ে যায় বঙ্গবিভাগের প্রচেষ্টা থেকে৷ ইতিহাস শাখার সভাপতি যদুনাথ সরকার
এ বিষয়ে সুধীমণ্ডলীকে আহবান করছেন বিজ্ঞানসম্মত ইতিহাস রচনা করার জন্য,
যার জন্য প্রয়োজনে অপ্রিয় সত্যও বলা প্রয়োজন। বলা দরকার যে পরবর্তীকালে
যদুনাথ সরকার তার অজস্র লেখনীর মধ্য দিয়ে এই কাজ করার চেষ্টা করেছেন।
এই অভিভাষণে উনি এঁতিহাসিককে সত্য নির্ধারণ করার জন্য বিভিন্ন প্রণালীর ব্যাখ্যা
করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সূত্র অনুসন্ধান ও সূত্র সম্পর্কে কঠিন দৃষ্টি রাখা। উনি
কয়েকটি দৃষ্টান্ত দিয়ে দেখাচ্ছেন যে ইউরোপের ইতিহাস চর্চার উন্নতি হয়েছে নূতনভাবে
অনুসন্ধান করে ইতিহাস রচনা করার ফলে, নির্বিবাদে প্রবাদ গ্রহণ করে নয়। উনি
পরিষ্কার জানাচ্ছেন যে প্রবাদ ইতিহাস নয় তবে এটি অনুসন্ধানে সাহায্য করে।
বিজ্ঞানসম্মত প্রণালীতে সূত্র ও প্রমাণের সম্পূর্ণ উল্লেখ করে (ফুটনোটে) উনি ইতিহাস
রচনা করার আবেদন রেখেছেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সাহিত্য শাখার কাজের মধ্যে এসে ইতিহাস শাখায় একটি প্রবন্ধ
পাঠ করেন। এতে উনি দেখাচ্ছেন যে আওরঙ্গজেব সম্পর্কে শুধু ফার্সি লেখকরাই
লেখেন নি, হিন্দুদের প্রচুর লেখা আছে। শান্ত্রী মশায় ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে
এই ধরনের লেখার সমীক্ষা করেছেন। এর থেকে দু-একটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন,
যেমন আওরঙ্গজেবের মন্দির ধ্বংসের কাহিনী যেখানে আওরঙ্গজেব ফৌজদারকে
SAAN করছেন AQAA মন্দির ধ্বংস করার জন্য। সভাপতি যদুনাথ সরকার
জানাচ্ছেন যে এ তথ্যটি ভুল। কিন্তু এটা অসম্ভব নয়। সাম্প্রতিককালে ফরাসি বণিক
ও অন্যান্যদের লেখা থেকে আনা যায় যে ১৬৬৯ সালে সুরাট শহরের কাজী একটি [১৬]