বর্ধমানের সমগ্র [খণ্ড-৩] | Bardhaman Samagra [Vol. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দামোদর নদের তীরবতী দুষ্প্রবেশ্য যে অরণ্য এবং অজয় নদের তীর পর্যস্ত as স্থানে দুর্গাপূর নগরের যে পরিকল্পনা ও রূপায়ন - সে সম্পর্কে প্রফুল্ল গুপ্ত মহাশয় দুর্গাপুর নগর পরিকল্পনা প্রবন্ধে এক সুন্দর অবতারণা করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি Vast মহেঞ্জোদাড়োর প্রাচীন উদাহরণ যেমন দিয়েছেন, তেমনি SSH গ্রন্থ ও কাবোর কথা, দক্ষিণ ভারতের WGA ও কাঞ্চীপুরের কথা, এমনকি চন্ডীগড় বা ভুলনেশ্বরের কপাও তুলনামূলকভাবে উল্লেখ করেছেন। শিল্প কারখানা সৃষ্টির সঙ্গে যে নগর এবং তার কলোনী গড়ে উঠেছে তার স্থাপত্যরীতির কথা যেমন আলোচিত হয়েছে, তেমনি সমাজবিন্যাসের সনাতন রক্ষণশীল ধারণার অপরিবর্তনীয়তার কথাও উল্লিখিত হয়েছে। জেলার অন্যতম শিল্প শহর দুর্গাপুরের নগরায়ন প্রক্রিয়ার এটি একটি অনবদ্য মূল্যায়ন বলা যেতে পারে। অশোক দাস মহাশয় শিক্ষকতার সঙ্গে সমাজসচেতন মানুষ হিসাবে সমাজ তথা জনজীবনের সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা করছেন দীর্ঘদিন। লোক-সংস্কৃতির নানা উপাদান নিয়ে এবং জনজীবনের নানা বিষয় নিয়ে তিনি বেশ কিছু প্রবন্ধ লিখেছেন। তার এ ধরণের চিত্তা- চেতনা থেকে বেরিয়ে এসেছে দুর্গাপুর- প্রাক্‌-এতিহাসিক যুগ থেকে ate শিল্পায়নের যুগ -এর মত একটি প্রবন্ধ প্রবন্ধের মধ্যে তিনি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বর্ধমান তথা ao বঙ্গের গৌরব দুর্গাপুরে শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠার ইতিহাস। তার প্রাচীন এঁতিহ্যের Fat | এসব কথা বলতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন গ্রন্থের উল্লেখ করেছেন, প্রাচীন দেব-দেবী এবং সেখানকার পূরাতাত্তিক নিদর্শনের কথা উল্লেখ করেছেন। রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করেছেন, জনজীবনের শিক্ষা-সংস্কৃতির কথা বলেছেন। শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার মধ্যে দিয়ে যে পরিবর্তন সেটি যেমন তার চোখে ধরা পড়েছে, তেমনি বর্তমান সংকটও তাকে ভাবিয়েছে। সামগ্রিকভাবে একটি অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন এবং তার আনুষঙ্গিক পরিবর্তনকে তিনি তুলে ধরতে প্রয়াসী হয়েছেন যা আগামী দিনে নথি হয়ে থাকবে। প্রণবেশ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় শিল্পে-বাণিজ্যে দুর্গাপুরের সেদিন এদিন প্রবন্ধটির মধ্যে শিল্প শহর দুর্গাপুর গড়ে ওঠার পর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের কথা যেমন উল্লেখ করেছেন, তেমনি শিল্প কারখানাগুলির বর্তমান রুগ্ন অবস্থার কথাও বলেছেন। আবার বর্তমান সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের আধিক্য এবং প্রকৃতিগত পরিবর্তনের দিকটিও তুলে ধরেছেন। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত মানুষজনের সুবিধার্থে জনবহুল্র বাজার, হাসপাতাল, শিক্ষায়তন প্রভৃতি তৈরী হয়েছিল, কিন্তু আজ কারখানার সম্পূর্ণ উৎপাদনকে ধরতে রাখতে না পারায় সামাজিকভাবে সমস্যা দেখা দিয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল রাখতে গিয়ে আর্থ-সামাজিক সমস্যায় জর্জারত দুর্গাপুরের মানুষ আজ হিমসিম খাচ্ছে। কিন্তু লেখক তার লেখায় সমাধান সূত্র হিসাবে কেবলমাত্র অর্থনীতি ও শিল্পনীতির পরিবর্তন চাননি, চেয়েছেন নৈতিক চেতনার জাগরণ। প্রবীন অধ্যাপক রামদূলাল বসু মহাশয় সাহিত্য-সংস্কৃতি -সমাজ নিয়ে ভাবনা (Hw করছেন দীর্ঘদিন। রানীগঞ্জ সমাজের দর্পনে প্রবন্ধটিতে প্রায় জনবসতি বিরল ছোট গ্রাম রানীগঞ্জে জনপদ গড়ে ওঠার ইতিহাস থেকে শুরু করে রানীগঞ্জে কয়লা শিল্পের সূচনা, জনপদ ও জনজীবনের উপর সামাজিকভাবে পরিবর্তন, বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠান, সাহিত্য-



Leave a Comment