কবি জয়দেব ও শ্রীগীতগোবিন্দ | Kabi Jaydeb O Sri Gitgovinda

২৭ 9 কবি-সাময়িকী বাঙ্গালার অদ্বিতীয় বৈষ্ণবকবি জয়দেব যখন জন্মগ্রহণ করেন, এ দেশের সে এক সঙ্কটময় সময়। অনুমান শকাব্দ একাদশ শতকের শেষ এবং দ্বাদশ শতকের প্রথম ভাগ-_সমাজ ব্যভিচারে পূর্ণ, প্রকৃতিপুঞ্জ মোহগ্রস্ত, রাজশক্তি অবসন্ন, রাজ্যেশ্বর প্রতিকারে অসমর্থ ca বাঙ্গালী প্রজা একদিন নিজেদের নির্ব্বাচিত প্রতিনিধিকে সিংহাসনে বসাইয়া দেশে “মাংস্যন্যায়” প্রশমিত করিয়াছিল, আজ তাহারা পাশব-ব্যসনে উন্মত্ত, বৈদেশিক আক্রমণের আসন্ন সম্ভাবনায়ও অনুদ্বিগ্ন। যে-রাজ্যের পরাক্রান্ত নৌবাহিনী ক্ষেপণী-উৎক্ষিপ্ত জলধারায় একদিন চন্দ্রমগুলের কলঙ্ক প্রক্ষালনের lal রাখিত, আজ প্রমোদ-তরণীতে প্রমদাগণের নয়ন-কজ্জ্বলে তাহাদেরই গণ্ড কালিমামণ্ডিত-_তাহারা সেই সোহাগেই GE Sy | ভারতের বাহিরে কোথায় কি ঘটিতেছে, ভারতের ভিতর কি পরিবর্তন সাধিত হইতেছে, সে সব সংবাদ লওয়া তো দূরের কথা--নিজেদের ভবিষ্যৎ-ভাবনাও কাহারো মনে স্থান পায় না। দুর্দিনি ঘনাইয়া আসিতেছে, সর্ব্বনাশ সমীপবত্তী, কিন্তু রাজ্যে নিত্য উৎসব লাগিয়াই আছে। কবিরা কাব্য রচনা করিতেছেন, সুরচিত Ew প্রশস্তিগাথায় নৃপতির যশের কাহিনী কীর্তিত হইতেছে, সমগ্র দেশ এক কল্পিত শান্তির মৃতকল্প জড়তায় তদ্দ্রাচ্ছন্ন। বাঙ্গালীর সৌভাগ্যসূর্য্য তখন ধীরে অস্তাচল-মূলে ঢলিয়া পড়িতেছিল, আর তাহার শেষ রশিমটুকু গ্রাস করিবার জন্য এক রণদুর্ম্মদ জাতির বিজয়- CARRS Silt গৌরবোজ্জ্বল MAH ASA অলক্ষ্যে বাঙ্গালার সান্ধ্য-াগনে METI হইতেছিল। এমনি দিনেই জয়দেব গোস্বামীর আবির্ভাব, এমনি এক দিনেই সংস্কৃত গীতিকাব্যের এই অপ্রতিদ্বন্দ্বী কবি বীরভূমের অজয়তীরবস্তী কেন্দুবিল্ব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কবিরাজ গোস্বামী জয়দেব, বঙ্গেশ্বর লক্ষ্ণসেনের সভাসদ্‌-_সম্রাটের পঞ্চরত্বের অন্যতম রত্ন ছিলেন। অনেকে বলেন, শ্রীপাদ সনাতন গোস্বামী নবদ্বীপের নৃপ-সভাদ্বারে নিম্নোক্ত শ্লোকটি ক্ষোদিত দেখিয়াছিলেন-_ গোবরদ্ধনশ্চ শরণো জয়দেব উমাপতিঃ। Sates রত্নানি পঞ্চৈতে লক্ষ্মণস্য চ 1” এই Cal কবি ধোয়ী কবিরাজ আখ্যায় অভিহিত হইয়াছেন। সম্রাট্সভার পাঁচটি রত্ব-__উমাপতিধর, CMA, শরণ, ধোয়ী এবং জয়দেব। amc মন্দির-প্রশস্তিতে উমাপতিধরের নাম পাওয়া যায়,__ইনি লক্ষ্লণসেনের সান্ধিবিগ্রহিকি ছিলেন। শ্রীমত্ভাগবতের বৈষ্ণব-তোষণী tie উল্লিখিত আছে,-_ 'খ্রীজয়দেবসহচরণে মহারাজ লক্ষ্মণসেন মন্ত্রিবরেণ উমাপতিধরেণ' ইত্যাদি | শ্রীগীতগোবিদ্দের টীকাকার ধৃতিদাসও লিখিয়াছেন--“উমাপতিধরো নামা সান্ধিবিগ্রহিকো 1” গোবরদ্ধনাচার্য্য তাহার আর্যাসপ্তশতীর একটি শ্লোক লিখিয়াছেম-_ “সকলকলাঃকল্পয়িতুং AS প্রবন্ধস্য কুমুদবন্ধোশন্চ। সেনকুলতিলকভূপতিরেকো রাকাপ্রদোষশ্চ”। প্রবন্ধের (TOT চতুঃযষষ্ঠি কলা) এবং কুমুদবন্ধুর (যোল কলা) সকল