সাহিত্য-শিল্প | Sahitya-Shilpo

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভূমিকা কলিকাতা বিশ্ববিস্তালয়ে বাংলা পড়াবার সময় সাহিত্য-শিল্প সম্বন্ধে ছাত্রদের উপযোগী একথানি বাংলা পুস্তকের অভাব বোধ করেছিলাম। যে সকল ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা পড়তে আসে সাহিত্যের রচনা-কৌশল সম্পঞ্কিত মোটামুটি বিষয়গুলি সম্বন্ধে তাদের অধিকাংশের জ্ঞানের অল্পতা দেখেই এ অভাবের কথা মনে জাগে। অধুনা! ঢাকা বিশ্ববিদ্ধালয়ের ছাত্রদের বাংলা পড়াতে গিয়েও এ ধারণ APSA হয়েছে। এই হ'ল উপস্থিত গ্রন্থের রচনা ও প্রকাশের কৈফিয়ৎ। বাংলা Stare সাছিত্য-তত্ব সম্বন্ধে আলোচনার বই একাধিক আছে। তাদের কোনো কোনোটির মূল্যবত্তাও যথেষ্ট কিন্তু তা সত্ত্বেও সাধারণ বি. এ, এম. এ পরীক্ষার্থী ছাত্রদের পক্ষে সেগুলি খুব স্থগম নয়। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ রচিত সাহিত্য”, “সাহিত্যের পথে”, “সাহিত্যের স্বরূপ” আদি মূল্যবান্‌ গ্রন্থের উল্লেখ করতে হয়। সাহিত্য-শিল্প সম্পর্কে মোটামুটি প্রাথমিক জ্ঞান নিয়ে যদি কেউ এ পুস্তকগুলি পড়েন তবে তিনি সাহিত্য আলোচন| ও উপভোগের পদ্ধতি সম্বন্ধে নানা দুর্লভ তথ্য ও ইঙ্গিত লাভ করতে পারেন। উপস্থিত গ্রন্থ এরূপ প্রাথমিক জ্ঞান দানের উদ্দেশেই রচিত। তাই এতে প্রায়শ কোনে উচ্চাঙ্গের সাহিত্য-তত্ত্ব বা সাহিত্য সমালোচনার প্রসঙ্গ আন! হয় নি। বাংলায় লিখিত সাহিত্য-তন্ত সম্বন্ধীয় বইগুলির লেখকগণ তাঁদের আলোচনায় দু'রকম পদ্ধতর অনুসরণ করেছেন। সে পদ্ধতি ছুটির সম্বন্ধে এখানে কিছু বলা সঙ্গত মনে করি। উল্লিখিত লেথকগণের মধ্যে একদল TNS প্রাচীন ভারতীয় সংজ্ঞা পরিভাষযার সাহায্যে সাহিত্য-তত্তের আলোচনা করেছেন। এ প্লেণীর লেখকদের মধ্যে YS অত্তলচন্দ্র গুপ্ত মহাশয়ের নাম সর্বাগ্রে মনে হয়। তাঁর 'কাব্য-জিজ্ঞাসা” নামক গ্রন্থে প্রাচীন ভারতীয় অলংকার শাস্ত্রের নাহায্যে তিনি বেশ নিপুণ ভাবে কাব্যের উপাদেয়তা বিচারের পথ দেখিয়েছেন। সাহিত্যিক বিচার সম্বন্ধে এ দেশের প্রাচীন পদ্ধতির যারা পরিচয় পেতে চান এ বই তাদের পক্ষে পরম মুল্যবান। প্রাচীন শান্ত্রধারার প্রতি শ্রদ্ধা ও স্বদেশানুরাঁগ প্রভৃতি কয়েকটি গুণের জন্যে “কাব্য-জিজ্ঞাসা১র আলোচনা-পদ্ধতি বিশেষ প্রশংসনীয় হলেও এ পদ্ধতি বিশ্ববিদ্ঞালয়ের ছাত্রদের প্রাথমিক পাঠ্য পুস্তকের জন্যে ততটা উপযোগী নয়। wa বিস্তর গত দেড়শ” বছরের চেষ্টায় বাঙালী যে উল্লেখযোগ্য সাহিত্য ee করেছে তার Sy দায়ী প্রধানত ইংরেজী তথা পাশ্চাত্য সাহিত্যের প্রেরণা। তাই, যে বাংলা



Leave a Comment