For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)এ-সব কাহিনী শিল্পকর্ম হিসাবে তুচ্ছ হলেও একে নিছক কুসংস্কারের পরি-
পোষক বলে উড়িয়ে দেওয়া ঠিক নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে--লক্ষ্মী
CHT ধন দান করেন, তাই বলে লক্ষ্মী Hel পরিশ্রম করে ধনোপার্জনের বিকল্প
ব্যবস্থা নয়। কোনো ব্রতকথাতেই এমন উক্তি নেই যে পরিশ্রম না করেও শুধু
লক্ষ্মীর পূজা করেই ধন লাভ করা যায়। যারা লক্ষ্মীর প্রতি ভক্তিমান তাদের
আচরণেও এ ধরনের কোনো প্রবণতা দেখা যায় না। তবে লক্ষ্মী পূজা এবং তার
অনুষঙ্গ ত্রতকথার সামাজিক উপযোগিতা কিসে ? এর সামাজিক উপযোগিতা
হল ভবিষ্যতের অনিশ্চিত ফলপ্রাপ্তির আশায় মানুষ যে দিনের পর fra
ক্লাস্তিকর একঘেয়ে কাজ করে যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় আবেগ প্রেরণা এবং
সাফল্যের প্রত্যয় we sa) আদিম মানুষরা ম্যাজিক বলে কথিত যে সব
রীতি-নীতি পালন করত তা-ও এই ধরনের প্রয়োজন সিদ্ধ করার জন্য বলে
অধ্যাপক কলিংউড. ( Collingwood : Art & Aesthetics ) অন্থমান
করেছেন | তাঁকে অনুসরণ করে এই ধরনের আর্টকে ম্যাজিক্যাল আর্ট নাম
দেওয়া যায়। নমিজলকাব্য-_-যে উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পাচালী বা ত্রতকথার প্রচলন হয়েছিল, সেই
একই উদ্দেশ্যে মঙ্গলকাব্যগুলিরও প্রচার হয়েছিল । তবে আকারে অনেক বৃহৎ
বলে এগুলি নিছক দেব-দেবীর পূজার অনুষঙ্গ মাত্র হয়ে থাকেনি; এগুলিকে স্বতন্ত্র
ভাবে আসরে গাওয়ার ব্যবস্থা করা হত। জীবনের নিরাপত্তা এবং জাগতিক
কামনা-বাসনার চরিতার্থতার জন্য দেব-দেবীদের ASR করাই এ মঙ্গলকাব্যের
কাহিনীগুলির উদ্দেশ্য। কিন্তু মধ্যযুগীয় মানযছের জীবনযাত্রায় এগুলির অত্যন্ত
ব্যাপক উপযোগিতা ছিল। দৈনন্দিন কর্ম জীবনের ay প্রয়োজনীয় আবেগ
এবং প্রেরণা এই কাহিনীগুলি সরবরাহ করত । তার একটি সহজ প্রমাণ এই যে
বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পেশার সঙ্গে বিভিন্ন কাহিনীর একটা carr খুঁজে পাওয়া
যায়। যেমন, সাপুড়েদের মধ্যে টাদ সদাগরের কাহিনী, ব্যাধ সম্প্রদায়ের মধ্যে
কালকেতুর কাহিনী, নাথ সম্প্রদায়ের মধ্যে গোরখনাথ মীমনাথ কাহিনী |
'নাগিনীকল্যার কাহিনী” নামক উপসন্থাসে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন
বেদেদের জীবনযাত্রার পিছনে যে মানস-পরিমণ্ডল তার উপর চাছ্সদাগর
বেহুলার কাহিনীর প্রভাব কত গভীর ৷ যে-সব কাহিনী মানুষের রুক্ষ অনুর্বর
কঠোর জীবন সংগ্রামের পিছনে জীবন-রস সঞ্চার করেছে তাকে কুসংস্কার বলে
উড়িয়ে দেওয়া কখনই সঙ্গত নয়। ৮