আমার নাম বকুল | Amaar Nam Bakul

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তারপর হঠাৎ একদিন মানুষ এল। রাতারাতি ঝৌপঝাঁড় বন- বাদাড় উধাও। চোখের পলক পড়তে না পড়তে বাড়িঘরে চারদিক CRA CHA) এ জাগাটার নতুন নাম হল জবরদখল কলোনি | এখানকার সব বাসিন্দাই পূর্ব বাঙলার মানুষ । আমাদের দেশও পূর্ব বাঙলাতেই । তবে সেখানকার কথা আমার বিশেষ কিছু মনে পড়ে না। ঢাকা জেলার মুন্সিগঞ্জ মহকুমার সেই গ্রামটা এতদিন পর পূর্বজন্মের স্মৃতি হয়ে গেছে। যাই হোক দেশভাগের শিকার হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে একদিন সীমান্তের এপারে চলে এসেছিলাম | তবে জবরদখল কলোনিতে আমরা ঘর-টর তুলি নি । ওপার থেকে আসার সময় বর্ডার পুলিশের চোখে ধুলো ছিটিয়ে বাবা কিছু সোনা আনতে পেরেছিল ৷ বাবার কৌশলটা ছিল অদ্ভুত Ts পায়ে ঢাউস ব্যাণ্ডেজ লাগিয়ে তার ভাজে ভাজে পাতলা পাতলা সোনার পাত সাজিয়ে নিয়েছিল। তারপর বর্ডারে এসে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে. এমন নিখুঁত অভিনয় করেছিল, পুলিশ কিছুই সন্দেহ করে নি। ধোকা দিয়ে সোনা আনার ব্যাপারে বাবার ছিল দারুণ গর্ব । অনেক দিন পর্যত লোক ডেকে ডেকে এ গল্প করেছে। বলবার মতো গল্পই বটে! সেই সোনা বেচে জবরদখল কলোনির গা cera বাবা খনিকটা জমি কিনে বাড়ি তুলেছিল । এ সব সতের আঠার বছর আগের কথা। আমি কিন্তু এখন বাবার কথা ভাবছি না। শহরতলীর শেষ মাথায় শাস্ত নিরিবিলি জংলা জায়গাটা রাতারাতি কিভাবে জমজমাট উপনিবেশ ইয়ে গেল তা নিয়েও আমার feel নেই | অন্যমনস্কের মতে৷ আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম। ছু' পাশের ঘরবাড়ি, গাছপালা, মাথার ওপর পাখি-টাখি, কিছুই যেন দেখতে পাচ্ছিলাম না। " আপনাদের তো বলেছিই, আমি মেয়েটা কিরকম । যেমন ভীরু তেমনি gir) এই মুহূর্তে বুকের ভেতরটা ভীষণ কাপছে। খুব ভয় লাগছে, আবার aA আনন্দও | At আর ভীরুতা--যমজ লশ্রোতের ১৮



Leave a Comment