প্রকৃতির প্রতিশোধ | Prokritir Pratisodh

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আজ স্পষ্ট দেখা যাইতেছে, এই একটিমাত্র আইডিয়া অলক্ষ্যভাবে নানা বেশে আজ পর্যন্ত আমার সমস্ত abate অধিকার করিয়া আসিয়াছে | কারোয়ার হইতে ফিরিবার সময় জাহাজে প্রকৃতির প্রতিশোধের কয়েকটি গান লিখিয়াছিলাম। বড়ে৷ একটি আনন্দের সঙ্গে প্রথম গানটি জাহাজের ডেকে বসিয়া ya দিয়া-দিয়। গাহিতে-গাহিতে রচনা করিয়াছিলাম : হ্যাদে গো নন্দরানী, আমাদের শ্যামকে ছেড়ে wre— আমরা রাখাল বালক ces যাব, আমাদের শ্যামকে দিয়ে যাও | সকালের স্থর্য উঠিয়াছে, ফুল ফুটিয়াছে, রাখাল বালকরা মাঠে যাইতেছে-_ সেই স্থরোদয়, সেই ফুল ফোটা, সেই মাঠে বিহার, তাহারা শূন্য রাখিতে চায় না; সেইখানেই তাহারা তাহাদের শ্যামের সঙ্গে মিলিত হইতে চাহিতেছে; সেইখানেই অসীমের সাজ-পরা রূপটি তাহারা দেখিতে চায়; সেইখানেই মাঠে-ঘাটে বনে-পর্বতে অসীমের সঙ্গে আনন্দের খেলায় তাহারা যোগ দিবে বলিয়াই তাহারা বাহির হইয়া পড়িয়াছে; দূরে নয়, Sacha মধ্যে নয়, তাহাদের উপকরণ অতি সামান্য-_ Aww ও বনফুলের মালাই তাহাদের সাজের পক্ষে যথেষ্ট__ কেননা সর্বত্রই যাহার আনন্দ তাহাকে কোনো বড়ো জায়গায় খুঁজিতে গেলে, তাহার জন্য আয়োজন আড়ম্বর করিতে গেলেই লক্ষ্য হারাইয়া ফেলিতে হয় | কারোয়ার হইতে ফিরিয়৷ আসার কিছুকাল পরে ১২৯০ সালে ২৪শে অগ্রহায়ণে আমার বিবাহ হয়, তখন আমার বয়স বাইশ বৎসর 1° * প্রকৃতির প্রতিশোধ প্রসঙ্গে বহু তথ্যের ও রবীন্তর-উক্তির সংকলন করেন স্তরীপুলিনবিহারী সেন । ডর: রবীন্দগ্রন্থপঞ্জী (আষাঢ় seve), পৃ. ১১৬-২৪ |



Leave a Comment