For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)একদিন স্বেচ্ছায় তা পালন করতেই চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অনুরাধা মেয়ের সঙ্গে
কোনওরকম সম্পর্ক রাখতে দেননি। সেই সব পুরনো তিক্ততার কথা তুলে
উৎকণ্ঠিত এক মহিলাকে বিব্রত করতে চাইলেন না প্রণবেশ। রুমিকে তিনি শেষবার
দেখেছিলেন যখন তার বয়স মাত্র পাঁচ। তার মুখটা স্মৃতিতে ঝাপসা হয়ে গেছে।
তবু তার রক্ত নিঃশব্দে যে মেয়েটির শরীরে বয়ে চলেছে তার প্রতি অনিবার্য এক
টান অনুভব করতে থাকেন। কিন্তু অনুরাধাকে তিনি যা বলেছেন তার একটি শব্দও
মিথ্যে নয়। যে হোটেল কমপ্লেক্সের অর্ধসমাপ্ত স্কেচ তার টেবলে পড়ে আছে সেটা
শেষ {TAR বাঙ্গালোরের একটা মাল্টি-স্টোরিড সুপার মার্কেট, পুনের একটা
ইনডোর স্টেডিয়াম আর নাগপুরের একটা বড় কোম্পানির হেড অফিস বিল্ডিংয়ের
নক্শায় হাত দিতে হবে। এই কাজগুলোও ভীষণ Gels | নভেম্বরেব দশ বারো
তারিখের ভেতর সব কমপ্লিট করে ফেলতে হবে। প্রণবেশ বললেন, 'নিশ্চয়ই আমার মেয়ে। বিশ্বাস কর, সম্ভব হলে কালই
কলকাতায় চলে যেতাম। fay—’ অনুরাধা বলেন, “তুমি তো প্রতি বছর নভেম্বরে কলকাতায় এসে দু'মাস থেকে
UNG | এবার না হয় রুমির জন্য aay আগেই এলে।' প্রণবেশ চমকে ওঠেন। ইস্টার্ন ইন্ডিয়াতেও তার কাজের প্রচুর চাহিদা। সেই
কারণে নভেম্বরের মাঝামাঝি ' রুলকাতায় এসে জানুয়ারির শেযষাশেষি অর্থাৎ
দু মাসেরও বেশি থেকে ওখানকার কাজগুলো শেষ করে যান। কলকাতায়,
কেয়াতলাব বাড়িতে তার মাঝারি মাপের এঞটা অফিস রয়েছে। অবশ্য বছরের দশ
মাস সেটা বন্ধ থাকে, তিনি এলে খোলা হয়। রীতিমত অবাক হয়েই প্রণবেশ
জিজ্ঞেস করেন. 'আমি যে কলকাতায় আসি তুমি জানলে কী ara?’ অনুরাধা বলেন, 'শুনেছি।' প্রণবেশ ভাবতে চেষ্টা করলেন, তবে কি এত বছর ধরে গোপনে তার সব খবরই
রেখে আসছেন অনুরাধা? কিছু বলতে যাচ্ছিলেন তিনি, তার আগেই টেলিফোনের
ওধার থেকে অনুরাধার গলা ফের ভেসে আসে, “কুড়ি বছর আমরা আলাদা হয়ে
গেছি। আগে কখনও তোমার কাছে কিছু চাইনি ' দয়া করে আমার এই কথাটা
তোমাকে রাখতে হবে।' 'নভেম্বরের তো খুব বেশি দেরি নেই। এই কটা দিন তুমি রুমিকে একটু বুঝিয়ে
সুঝিয়ে রাখো। 'অসম্ভব। অবস্থা যা দীড়িয়েছে যে কোনওদিন বিশ্রী ব্যাপার ঘটে যেতে পারে।
মেয়েটার জীবন CE ধ্বংস হয়ে যাবেই, আমারও আত্মহত্যা করা ছাড়া পথ থাকবেনা অতল--২ ১৭