জোয়ার ভাটায় চাঁদের শক্তি শূন্য | Jooyar Bhatay Chander Shakti Sonnya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
জোয়ার ভাটায় চাঁদের শক্তি শূন্য সমুদ্র ঢেউ সমুদ্র জলের কথা বলতে গিয়ে তার উপরিতলের বাহাদৃশ্য অবশ্যই এসে পড়ে। সমুদ্রের উপরে দেখা যায় নানা আকারের ঢেউয়ের নাচন | জলের উপরিতল হল Tata, তাই সমুদ্রের উপরে প্রবাহিত হয় বায়ুর অবিরাম প্রবাহ। বায়ুর প্রবাহে জলের, উপরিতল কম্পিত হয়, কম্পনের ফলে জলের মধ্যে ঢেউয়ের SATA প্রবাহিত হয়। সমুদ্রের মাঝে কোন COG সৃষ্টি হলে তা দলগত শক্তি নিয়ে বায়ুর অনুকূলে তীরের দিকে অগ্রসর হয়। সমুদ্র ও স্থলের সঙ্গমের ঢাল খাড়া হলে সমুদ্রের ঢেউ তীব্র আঘাত করে লুপ্ত হয়। এভাবে একের পর এক ঢেউ খাড়া তীরে আঘাত এনে বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু সমুদ্রের তীরভূমি যেখানে সমতল গভীরতা নিয়ে অবস্থান করছে, সেই স্থানে সমুদ্র আগত ঢেউ আঘাত না করে হেলানো বেলাভূমিতে অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে ACS হেলানো উচ্চতায় জল উঠে পরক্ষণেই তা সমুদ্রে গিয়ে শাস্ত হয়ে AT | কিছুক্ষণ পর পর এমন সমতল ঢেউয়ের আনা- গোনা মানুষের মনকে অনন্দ দিয়ে থাকে | ফলে সমুদ্রের এ অঞ্চলেই ভ্রমণার্থীরা বেশি সংখ্যায় তার সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকে | ঢেউ শুধু তীরভূমিতে আছড়ে পড়ে তাই AA | যখন জাহাজে করে সমুদ্র যাত্রা করা হয় তখন জাহাজের পার্শদিকে আঘাত BWI বড় জাহাজের ক্ষেত্রে যদিও এ রকম ঢেউয়ের আঘাত তেমন অনুভূত হয় না। কিন্তু ছোট জাহাজের পাশের দেয়ালে যদি সমুদ্র ঢেউ আঘাত করে তখন ছোট জাহাজ হেলে দোলে চলে। কোনও সময় এ জাহাজ উপরে উঠে এবং পরক্ষণেই নেমে যায়। মাঝ সমুদ্রের জলের ঢেউ খুব সুন্দর দেখা যায়। এ স্থানে সমুদ্রের বাধা বলে কিছু থাকে না ॥ মুক্তাঞ্চল বলেই এঁ এলাকায় ঢেউ অতি সুন্দর টলমল দেখায়। ঢেউয়ের মধ্যে নানা প্রকার শ্রেণীভেদ আছে। এগুলো হল — ঢেউয়ের শীর্ণ, তরঙ্গ মধ্য নিম্নস্থান, তরঙ্গের উচ্চতা, তরঙ্গ দৈর্ঘ এই চার প্রকার | ঢেউয়ের সর্বোচ্চ সীমায় যে জল উঠে তার নাম হল ‘COW’ | এই ঢেউশীর্ষের সর্বনিম্ন স্থানটিকে বলা হয় ‘De’ অর্থাৎ তরঙ্গ মধ্য IAA | ঢেউয়ের শীর্ষ স্থান ও সর্বনিম্ন স্থানের মাঝের দূরত্বকে বলা হয় ঢেউয়ের তরঙ্গ উচ্চতার তৃতীয় নাম। আর দুটি ঢেউয়ের পারস্পরিক শীর্ষ দূরত্বের ব্যবধানকে বলা হয় তরঙ্গ দৈর্ঘ । যখন উত্তাল ঢেউয়ের আস্ফালন ভেঙ্গে গিয়ে জলকণার তরঙ্গায়িত অবস্থান বিলুপ্তি ঘটে, তখন এ ভাঙ্গা ঢেউয়ের দুর্বল অবস্থানকে বলা হয় “ব্রেকার” এই গেল সমুদ্রের স্বাভাবিক ঢেউয়ের সহজ তরঙ্গ ঢেউ SY | সমুদ্রে আর এক' প্রকার ঢেউ উৎপন্ন হয়, যার তাণ্ডব ক্ষমতা অতি শক্তিশালী। সারা বছরই সমুদ্রের কোন না কোন স্থানে এই প্রকার তীব্রতর শক্তির ঢেউ লক্ষ্য করা যায়। এঁ প্রকার ঢেউ সৃষ্টির জন্যে সূর্যের ১৪



Leave a Comment