তুষারকুমারী | Tusharkumari

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পারে | গুজবের তো শেষ নেই । ব্যাংক লাইন কোম্পানির জাহাজ মেলা | তবে এস/এস টিবিড ব্যাংক জাহাজখানার গুজব আরও অধিক | জাহাজটা ইবলিশ | দরিয়ায় ঘোরাঘুরি করার স্বতাব | ঘাটে ভিড়তেই চায় না। দুনিয়ার দু'জন সারেের কাছে জাহাজটা STH | তার একজন আলতাফসাব | জাহাজটা সম্পর্কে মাঝি-মাল্লাদের আতঙ্কেরও যেন শেষ নেই । জাহাজে কেউ উঠতে চায় না। গোপাল দেখেছে, বাদশা মিঞাকে দেখলেই মাঝি-মাল্লারা সরে পড়ে । তাকে এড়িয়ে চলে । কেমন যেন ভূতুড়ে জাহাজ | তার লোক-লস্কর বেশি সুবিধা হবার কথা নয় । বাদশা যেখানে যায়, লোকজন পালাতে থাকে । এই যে আলতাফসাবকে দেখে মাঝি-মাল্লারা জড় হয়েছে, তা একজন জবরদস্ত সারেঙসাবকে GMA দেবার জন্য । কারণ আল্লার একান্ত মেহেরবানি না থাকলে টিবিড ব্যাংক জাহাজের সারেঙ হওয়া যায় না। গোপালের কথা বলতেই তিন চারদিন লেগে গেল ৷ বাদশার পিছু পিছু ঘুরছে । বাদশা সারেঙসাবকে নানা খবর দিচ্ছে--কে কোন জাহাজ ধরে চলে গেছে তার খবর | সে যে সঙ্গে আছে, বাদশা যে তাকে কথা দিয়েছে যেন সে ভুলেই গেছে । আলতাফসাব তাকে পাত্তাই দিচ্ছে না at তিনি জানেনই না, সেও জাহাজ ধরার জন্য শিপিং অফিসে ঘোরাঘুরি করছে । .বাদশার পিছু নিয়েছে। একদিন কেন যে বললেন, ছোট Perm ও কে ? Tem ফ্যাক ফ্যাক করে হাসছে । সে কে যেন বলতে সাহস পাচ্ছে না। আলতাফসাব তাকে দেখে কিছুটা যেন বিভ্রান্ত । এবং মনে হয় তিনি নিজেও OIC দেখে খুশি না । মুখখানা তার কেন যে ব্যাজার হয়ে গেল গোপাল বুঝতে পারছে না। তার মুখে কি কোনো পূর্বস্মৃতি কাজ করছে সারেঙসাবের | তাকে দেখেন--কিন্তু কেন যে এড়িয়ে যান-_ইচ্ছে করেই যেন চোখ তুলে একবার দেখার পর অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন | কেন এটা হচ্ছে সে বোঝে না। শেষে একদিন না পেরে বিরক্ত হয়েই বললেন, ও কে ছোট ere! তোমার সঙ্গে লেগে আছে । ওকে নিয়ে ঘুরছ কেন ! গোপাল বাদশা মিঞার সঙ্গে ঘোরাঘুরি করছে বলে তিনি যেন সত্যি বিরক্ত, দেখে শুনে তাকে অপছন্দ করতেই পারেন | নিজের মুরদে হল না। বাদশাকে ধরেছে। বাদশা তাকে তুলে নেবে !₹ুঁ ! সে ঠিক বুঝতে পারে না, আসলে এ-ভাবে খাটো করার ইচ্ছা আছে কি না আলতাফের | বাদশা বলতে গেলে পাত্তাই পাচ্ছে না। সারেঙের মর্জি না ১৬



Leave a Comment