মাটির ক্ষুধা | Matir Kshudha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সোয়ামণের চালের বস্তা মাথায় করে যেতাম নদীর ওপারে । নানা বারে নানা জায়গায় হাট বসত, সেই সব হাটে যেতে হত। এমনি করেই চার-পাঁচটা বছর কেটে গেল। একদিন বিকেলবেলায় বাবা ফিরে এল। প্রথমে তো তাকে চিনতেই পারিনি মুখভর্তি দাড়ি গৌঁফ, ময়লা ছেঁড়া একখানা ধুতি পরনে। দেহটা আমার আজকের দেহের মতই শীর্ণ । fry সরদারের বাড়িতে এসে আমার খোঁজ করছিল। আমি তখন গরুর জাব কাটছিলাম। গলার শব্দটা চেনা চেনা মনে হতেই এগিয়ে গিয়ে বললাম, কাকে চাই? সুধীরকে? আমি সুধীর। বলা মাত্র হাউ-হাউ করে কেঁদে উঠল নিতাই মুনডা। ছুটে এসে আমাকে বুকের সঙ্গে জাপটে ধরে বলল, আমি তোর বাবা নিতাই মুনডা। কাল খালাস পেয়েছি। আরও কত কি যে বলেছিল তা স্মরণ করতে পারছি না। আমিও খুব কেঁদেছিলাম। কিন্তু কিছুই বলতে পারি নি। সে দিনটার কথা কোন দিন ভুলতে পারব না। সবার খাওয়া শেষ হয়েছে। অন্ধকার ঘরে হাত শুকিয়ে বসে বসে সুধীর মুনডার কাহিনী শুনতে শুনতে কেমন বেমনা হয়ে পড়েছিলাম। সুধীরের কণ্ঠস্বর প্রায় রুদ্ধ আবেগ প্রবল। বলার ভাষা কিছু নেই। শুধু দীর্ঘশ্বাস। অন্ধকার ঘরে সুধীর মুনডার ফৌসফোসানি বিনা আর কিছুই শোনা যাচ্ছিল না। ভারতী সবার আগে উঠে দাওয়াতে মুখ ধুতে গেল। আমরাও পেছন পেছন বেরিয়ে এলাম ঘর থেকে। সুধীর মুনডা দাওয়াতে খড় বিছিয়ে দিল। আমরা খড়ের উপর চাদর বিছিয়ে আরাম করে বসলাম। ভারতী পুরাতন প্রসঙ্গ আবার উত্থাপন করে বলল, তোমার বাবা ফিরে আসার পর কি হয়েছিল? তাকে সাহায্য করেছিল নিমু সরদার। যাদের জমি বাবা ভাগ চাষ করত তারা জমি খাস করেছিল, নতুন ভাগচাষীকে জমি দিয়ে নিশ্চিস্ত ছিল। তে-ভাগার হাত থেকে, তো তারা বাঁচতে পেরেছে। কিন্তু ভগবান বিরূপ। বাবা সাড়ে চার বছর পর দেশে ফিরতেই পুরাতন SY |



Leave a Comment