দুটি পালক | Dooti Palak

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
4 এপ চক বড হিমাদ্রি অতি সজ্জন, অমায়িক, পরোপকারী, THOTT | সংস্কৃতি প্রেমী, গান- বাজনা ভালোবাসেন। অফিস নাটকে অভিনয় করেন। বিপদে পড়লে সকলকে সাহায্য করেন। সাধারণ পেশকারের চাকুরী করলেও হিমাদ্রি উচ্চ শিক্ষিত। বাংলা সাহিত্যে অনার্স সহ এম.এ. পাশ। আইন কলেজে পড়বার সময় হঠাৎ-ই বাবা মারা যান। বাধ্য হন পড়া ছেড়ে চাকুরী নিতে | ডাই-ইন-হারনেস কেইসে বাবার চাকুরীটাই নিয়ে নিল হিমাদ্রি। ভালো ছাত্র হিসাবে হিমাদ্রির বেশ সুনাম ছিল। কলেজের অধ্যাপকবৃন্দ হিমাদ্রিকে খুব ভালোবাসত। গল্প-কবিতা GAN প্রতিও ঝোঁক ছিল হিমাদ্রির। সংসারের চাপে এবং অভাব অনটনের তাড়ায় সব ছেড়ে ছুড়ে সংসার জীবনে মন দেয় হিমাদ্রি। শাত্ত, ধীর, স্থির হিমাদ্রি জজ সাহেবের কথায় বড়ো অপমানিত বোধ করেন। হিমাদ্রি তার মেয়েকে পরম CAR, ACY, SIC ও শাসনে বড়ো করে তুলছেন। হিমাদ্রি খুবই আদর্শবাদী। বামপন্থী আদর্শের প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস। জুঁই প্রতি বছরই ক্লাসে ফার্স্ট হয়। জজ সাহেবের মেয়ে নীতাও জুইয়ের সঙ্গে একই ক্লাসে পড়ে। কিন্তু Fars ছাপিয়ে একবারও যেতে পারেনি। প্রতিবারই জুঁইয়ের পেছনে ATH কখনো দ্বিতীয়, আবার কখনো বা তৃতীয় হয়। জজ সাহেব ও তার স্ত্রী Gara প্রতি একটা চাপা ঈর্ষা পোষণ-করেন। তারই অধঃস্তন একটি সাধারণ তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর মেয়ে হয়েও যে ভাবে GS এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে ঈর্ষা হওয়া অতি স্বাভাবিক | মেয়েটির রূপে-গুণে কোন তুলনা নেই। জুই দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি তার নাচ | জুঁইয়ের নৃত্য অতি সাবলীল। অনুষ্ঠানে জুইয়ের নাচ দেখে সকলেই তাকে বাহবা দেয়। দ্রুপদী এবং রবীন্দ্রনৃত্যে নিয়মিত তালিম নেয় জুই | ভালো গানও গায়। মা মাধুরীই জুইয়ের গানের শিক্ষিকা। তবে জুইয়ের গান অপেক্ষা নাচের প্রতি ঝোঁক বেশী আকাশে চাদ উঠেছে। নির্মল মধ্য শরতের আকাশে টাদের রূপমাধুরী চারদিকে ঝরে পড়ছে। ঘরে ফিরতে ফিরতে হিমাদ্রি বীতরাগ হবার DS Bea recs ফিরে হিমাদ্রি কি মেয়েটাকে বক্বে ? মারবে ? কি শাস্তি দেবে ! জুঁই যে তার সম হৃদয় জুড়ে, সমগ্র সত্তা জুড়ে - তাকে আকড়ে ধরে আছে। এমন ফুটফুটে নিস্পাপ মেয়েটির গায়ে হাহ তোলার কথা ভাবতেই পারে না হিমাদ্রি। হিমাদ্রি যে মেয়েকে বকতেই পারে না, মেয়ের গায়ে হাত তোলা... আর ভাবতে পারছে না হিমাদ্রি। জুঁই তো কারো সঙ্গে কখনো ঝগড়া বিবাদ করে না। জুঁই সদা-চঞ্চল, হাসি-খুশী, সপ্রতিভ। স্কুলের সব শিক্ষক-শিক্ষিকাই জুইকে খুবই আদর করে ও ভালোবাসে | আসলে জুঁই দেখতে এমনই যে তাকে আদর না করে পারা যায় না। জুঁই যে একদিন রমেশ স্কুলের ১৬



Leave a Comment