মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনাসমগ্র [খণ্ড-৬] | Manik Bandyopadhyay Rachanasamagra [Vol. 6]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আদায়ের ইতিহাস ১৫ অবিনাশ তেলের বাটি হইতে হাতের তালুতে তেল ঢালিতেছিলেন, খানিকটা তেল মাটিতে পড়িয়া গেল। মার হাতের খুস্তি আবার কড়াইয়ের অনেকখানি উঁচুতে নিশ্চল হইয়া রহিল। প্রথম কথা কহিলেন অবিনাশ ।--কী বলছিস তুই পাগলের মতো ? এমন সময় রাণুর হাত ধরিয়া প্রভা সেখানে, আসিল। aga গালে ব্রিষ্টরপের আঙুলের দাগ স্পষ্ট হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে। মেয়েটা oan ফুঁপাইয়া কাদিতেছিল, ঠিক স্বপ্নে ত্রিষ্টপের ছেলের শোকে কাদার মতো। প্রভার মুখ মেঘে ঢাকা আকাশেব মতো GAA মেয়ের গালটি সকলের সামনে ধরিয়া সে বলিল, দ্যাখো বাবা, কেমন করে মেরেছে মেয়েটাকে। বেলা হয়ে গেছে, আজ আবার আপিস যাবে, আমি তাই মেয়েটাকে বলেছিলাম তোর মামাকে ডেকে দে তো AIG গিয়ে যেই ডেকেছে, অমনি মেরে একেবারে খুন করে দিযেছে। ওর কী দোষটা ? তোমরাই বলো ওর দোষটা কী ? বিশেষ দুটি খেতে-পরতে দিচ্ছ বলে-_ প্রভা নিজেও ফুঁপাইয়া ste উঠিল। প্রভার নালিশ ও কান্না সকলের গা-সওয়া হইয়া গিয়াছে, বিশেষ বিচলিত কেউ হয় atl সারাদিনে অন্তত একবার প্রভার নালিশ ও কান্না না AS বরং সকলে একটু আশ্চর্য হইয়া ভাবে, কী হইয়াছে প্রভার আজ ? তবে এক হিসাবে প্রভার মন খুব উদার, একটি ধমকেই OAS হয়, কান্না থামিয়া যায়, ঘ্যানঘ্যান প্যানপ্যান কবে না। কেবল ধমকটা দিতে হয় PSB] এই ভাবে : চুপ কর প্রভা, কী বকছিস তুই পাগলের মতো ? তুই কি পর এসেছিস এ বাড়িতে, Fou এসেছিস ? আজ কেউ ধমক দিল না, কিছুই বলিল না। প্রভা আশ্চর্য হইয়া সকলেব মুখেব দিকে চাহিতে লাগিল। wid মেয়ের গালে চড় মারার চেয়ে অনেক বেশি গৃবৃতর কিছু ঘটিযাছে বুঝিতে পারা মাত্র কৌতূহলের বন্যায় অভিমান ভাসিয়া গেল। কী হয়েছে মা ? হয়েছে আমার GMB, আমার পোড়াকপাল | কী হইয়াছে বুঝা গেল না বটে, fay ভযানক কিছু যে সত্যই হইয়াছে, সে বিষযে আর সন্দেহ রহিল না প্রভাব। ধৈর্য ধরিয়া জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে সে মার মুখেব দিকে চাহিয়া রহিল। জলভরা চোখের সে দৃষ্টি কামিনী বেশিক্ষণ সহ্য করিতে পারিলেন না, বলিলেন, fey চাকরি করবে না বলছে। ও, এই ! fog ফাজলামি করাছে। প্রভার স্বামী রমেশের* আজ চাকরি নাই তিন বছর, প্রভা ভাবি'তও পারে না মানুষ চাকরি পাইয়াও বলিতে পারে, সে চাকরি কবিবে না। বাপের সঙ্গে এ ধরনের ফাজলামি করা ব্রিষ্ট্রপের স্বভাব নয়, তবু অথই জলে পড়িলে মানুষ যেমন হাতের কাছে যা পায় তাই আঁকড়াইয়া ধরে, অবিনাশ ও কামিনীও তেমনি প্রভার কথা শুনিয়া উৎসুক্দৃষ্টিতে ছেলের মুখের দিকে চাহিয়া বহিলেন। আশ্চর্য কী, সকলকে একটু চমক দেওয়ার জন্য fay হয়তো ফাজলামিই করিতেছে। Fr কথা বলিল না, সে তখন অবাক হইয়া খোলা দরজা দিয়া ওদিকের রোয়াকে একটা তুচ্ছ ঘটনা লক্ষ করিতেছিল। রোয়াকে একটি আধপোড়া বিড়ি পড়িয়াছিল, কোথা হইতে আসিয়া ঘরে ঢুকিতে গিয়া রমেশ হঠাৎ থমকিয়া দীড়াইয়া বিড়িটা কুড়াইয়া নিয়াছে। বিড়ি নিয়া রমেশ ঘরের মধ্যে চলিয়া গেল, সেখান হইতে ডাক Sey রাণুর। ঘরে গিয়া সঙ্গে সঙ্গে রাণু ফিরিয়া আসিল। দেশলাইটা দাও না দিদিমা, বাবা চাচ্ছে। * উপন্যাসে পূর্ববর্তী পাঠে নাম ছিল মিহির। কিন্তু পববর্তী বহুস্থানে মিহিবেব বদলে লেখক বমেশ নাম ব্যবহাব কবেছেন বলে নামটি বর্তমান পাঠে সংশোধিত হয়েছে। সম্পাদকমণ্ডলী



Leave a Comment