লালসালু | Lalsalu

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
"২ লালসালু তলে কচি-নধর ধান দেখে শঙ্কিত হয়ে ওঠে, মাটির তৃষ্ণায় তাদেরও অন্তর খাঁ খা করে। রাত নেই দিন নেই, কেঁদে করে পানি তোলে-_ মণ-কে-মণ | এত শ্রম এত কষ্ট, তবু ভাগ্যের ঠিকঠিকানা নেই । চৈত্রের শেষ দিক বা বৈশাখের শুরু ৷ ধান ওঠে-ওঠে, এমন সময়ে কোনোে৷ এক দুপুরে কালো মেঘের সাথে আসে ঝড়, আসে Pegs, হয়তো না বলে না কয়ে নিমেষেব মধ্যে ধ্বংস করে দিয়ে যায় মাঠ । কোচবিদ্ধ হয়ে নিহত ছমিরুদ্দিনের রক্তাপ্লুত দেহের পানে চেয়ে আবেদ-জাবেদের মনে দানবীয় উল্লাস হতে পারে, কিন্তু এখন তারা পাথর হয়ে যায়। যার একরত্তি জমিও নেই, তারও চোখ ছলছল করে ওঠে । এবং হয়তো তখন খোদাকে স্মরণ করে, হয়তো করে না। মাঠের প্রান্তে একাকী দাড়িয়ে মজিদ দাত খিলাল করে আর সে কথাই ভাবে । কাতারে কাতারে সারবন্দী হয়ে দ্বিতীয়ার টাদের মতো কাস্তে নিয়ে ARAM যখন ধান কাটে আর বুক ফাঁটিয়ে গীত গায় তখনো মজিদ দূরে দাড়িয়ে দেখে আর ভাবে। গলার তামার খিলাল দিয়ে দ্বাতের গহ্বর গুতোয় আর ভাবে ৷ কিসের এত গান, এত আনন্দ ? মজিদের চোখ ছোট হয়ে আসে ৷ রহীমার শরীরে CO এদেরই রক্ত, আর তার মতোই এরা তাঁগড়া, গাট্টাগোট্টা ও প্রশস্ত lata চোখে ভয় দেখেছে মজিদ | এরা কি ভয় পাবে না? ওদের গান আকাশে ভাসে, ঝিলমিল করতে থাকা ধানের শীষে এদের আকর্ণ হাসির ঝলক লাগে | ওদের খোদার ভয় নেই৷ মজিদও চায়, তার গোলা ভরে উঠুক ধানে | কিন্তু সে তো জমিকে ধন মনে করে না, আপন রক্তমাংসের সামিল খেয়াল করে না? CH দৃষ্টিতে অবশ্য চেয়ে চেয়ে দেখে ধান- কাটা; কিন্তু তাদের মতো লোম-জাগানো পুলক লাগে না তার অন্তরে | হাসি তাদের প্রাণ, এ-কথা মজিদের ভালো লাগে না। তাদের গীত ও হাসিও ভালো লাগে না। ৰঝালরওয়ালা সালু-কাপড়ে আবৃত মাজারটিকে তাদের হাসি আর গীত অবজ্ঞ। করে যেন |



Leave a Comment