For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)বিবেকানন্দের সাহিত্য “চলিত ভাষায় কি আর শিল্প-নৈপুণ্য হয় না? স্বাভাবিক ভাষা
তৈয়ার করে কি হবে ?'*'স্বাভাবিক যে ভাষায় মনের ভাব আমরা
' প্রকাশ করি, যে. ভাষায় ক্রোধ ছুঃখ ভালবাসা ইত্যাদি জানাই-_
তার চেয়ে উপযুক্ত ভাষা হতে পারেই না; সেই ভাব, সেই ভঙ্গি সেই
সমস্ত ব্যবহার করে যেতে হবে । ও ভাষার যেমন জোর, যেমন অল্পের
মধ্যে অনেক, যেমন যেদিকে ফেরাও সেদিকে ফেরে, তেমন কোন
তৈয়ারী ভাষা কোনও কালে হবে না। ভাষাকে করতে হবে-_যেন
সাফ, ইস্পাৎ, মুচড়ে মুচড়ে যা ইচ্ছে কর--আবার যে-কে সেই,
এক চোটে পাথর কেটে দেয়,-_দীত পড়ে না” ('বাঙ্গালাভাষা ভাববার কথা ) বিবেকানন্দ চলিত ভাষার এই শক্তিকে শুধুমাত্র থিয়োরী হিসেবে বিশ্বাস করেন নি,লেখনীতেও তাকে প্রয়োগ করেছেন পূর্বে প্রদিত দৃষ্টান্তটিতে তার প্রমাণ | একটি দৃষ্টান্তে মুখের ভাষাকে যথাযথ ভাবেই
খুজে পাওয়া যাবে ।- “বলি রঙের নেশা ধরেছে কখন কি ?- যে রঙের নেশায় পতঙ্গ
আগুনে পুড়ে মরে, মৌমাছি ফুলের গারদে অনাহারে মরে ? হু' বলি
-_এই বেলা গঙ্গা মা'র শোভা যা দেখবার দেখে নাও; আর বড়
একট কিছু থাক্চে না! দৈত্য দানবের হাতে পড়ে এসব যাবে!
এ ঘাসের জায়গায় উঠবেন--ইটের Aten, আর নাব্বেন ইটখোলার
ASEH |” বিবেকানন্দের সাধুভাষা' প্রয়োগের ক্ষেত্রেও একই গাঁতিশক্তি
বিদ্যমান | তার অনেক রচনায় যেমন মেজাজী মনোভঙ্গী আছে,
তেমনি কিছু apa আছে যেখানে তিনি আবেগের মধ্যে নিজেকে
হারিয়ে ফেলেছেন, -__“সদর্পে ডাকিয়া বল-__ভারতবাসদী আমার ভাই,
ভারতরাসী আমার প্রাণ, ভারতের দেবদেবী আমার ঈশ্বর, ভারতের
সমাজ আমার শিশু শয্যা, আমার যৌবনের উপবন, আমার বার্ধক্যের ' ১-