বিবেকানন্দের সাহিত্য [খণ্ড-১] | Vivekanander Sahitya [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বিবেকানন্দের সাহিত্য “চলিত ভাষায় কি আর শিল্প-নৈপুণ্য হয় না? স্বাভাবিক ভাষা তৈয়ার করে কি হবে ?'*'স্বাভাবিক যে ভাষায় মনের ভাব আমরা ' প্রকাশ করি, যে. ভাষায় ক্রোধ ছুঃখ ভালবাসা ইত্যাদি জানাই-_ তার চেয়ে উপযুক্ত ভাষা হতে পারেই না; সেই ভাব, সেই ভঙ্গি সেই সমস্ত ব্যবহার করে যেতে হবে । ও ভাষার যেমন জোর, যেমন অল্পের মধ্যে অনেক, যেমন যেদিকে ফেরাও সেদিকে ফেরে, তেমন কোন তৈয়ারী ভাষা কোনও কালে হবে না। ভাষাকে করতে হবে-_যেন সাফ, ইস্পাৎ, মুচড়ে মুচড়ে যা ইচ্ছে কর--আবার যে-কে সেই, এক চোটে পাথর কেটে দেয়,-_দীত পড়ে না” ('বাঙ্গালাভাষা ভাববার কথা ) বিবেকানন্দ চলিত ভাষার এই শক্তিকে শুধুমাত্র থিয়োরী হিসেবে বিশ্বাস করেন নি,লেখনীতেও তাকে প্রয়োগ করেছেন পূর্বে প্রদিত দৃষ্টান্তটিতে তার প্রমাণ | একটি দৃষ্টান্তে মুখের ভাষাকে যথাযথ ভাবেই খুজে পাওয়া যাবে ।- “বলি রঙের নেশা ধরেছে কখন কি ?- যে রঙের নেশায় পতঙ্গ আগুনে পুড়ে মরে, মৌমাছি ফুলের গারদে অনাহারে মরে ? হু' বলি -_এই বেলা গঙ্গা মা'র শোভা যা দেখবার দেখে নাও; আর বড় একট কিছু থাক্চে না! দৈত্য দানবের হাতে পড়ে এসব যাবে! এ ঘাসের জায়গায় উঠবেন--ইটের Aten, আর নাব্‌বেন ইটখোলার ASEH |” বিবেকানন্দের সাধুভাষা' প্রয়োগের ক্ষেত্রেও একই গাঁতিশক্তি বিদ্যমান | তার অনেক রচনায় যেমন মেজাজী মনোভঙ্গী আছে, তেমনি কিছু apa আছে যেখানে তিনি আবেগের মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন, -__“সদর্পে ডাকিয়া বল-__ভারতবাসদী আমার ভাই, ভারতরাসী আমার প্রাণ, ভারতের দেবদেবী আমার ঈশ্বর, ভারতের সমাজ আমার শিশু শয্যা, আমার যৌবনের উপবন, আমার বার্ধক্যের ' ১-



Leave a Comment