বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
14 MB
মোট পৃষ্ঠা
216
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)৪ ভারতের সংবিধান সৈন্যবাহিনী দিয়ে স্থরক্ষিত করার ব্যবস্থা করেছিল। ১৭*৭ সালে মোগল
সম্রাট আওরঙ্গজেব শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সংগে সংগে মোগল সাম্রাজ্যের
সংহতিতে যে ভাঙন ধরতে শুরু করে হুচতুর এবং দুঃসাহসী afters তার
পরিপূর্ণ স্থযোগ গ্রহণ করে। ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর ভারতবর্ষের কর্ণবারের]
বাংলাদেশের ঘণটিগুলিকেই বৃহত্তর সাম্রাজ্য স্থাপনের প্রস্ততিকেন্দ্র হিসেবে
ব্যবহার করতে ভুল করেনি। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভ করে
ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী যে ক্ষমতা] কুক্ষিগত করে, এর রে ১৭৬৪ সালে
বক্সার যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে তার আন্নষ্ঠানিক স্বীরুতি তাঁরা আদায় করে নেয়
নামদর্বস্ব দিল্লীর বাদশা শাহআলমের কাছ থেকে । বাদ্শা শাহআলম
কোম্পানীকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্ার দেওয়ানীর অধিকার দান করলেন।
কোম্পানী এই অধিকার পেয়েও শাসনকার্ষের সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করতে সাহসী
হয়নি । তাই মুহম্মদ রেজাখা নামে এক অপদার্থ ভাগ্যান্বেষীকে নামেমাত্র
নবাবের গদীতে বসিয়ে কোম্পানীই হয়ে উঠল বাংলা, বিহার ও উড়িয্যার
ভাগ্যবিধাতা। দেশের শাস্তি ও শৃঙ্খলারক্ষার দায়িত্ব নিয়ে রেজার্থা হলেন
নবাব। আর কোম্পানী তাঁর দ্রেওয়ান--অর্থাৎ রাজস্বসংক্রান্ত ব্যাপারের
তত্ত্বাবধায়ক we হতভাগ্য নবাব! না আছে টাকা, না আছে
সৈন্তবাহিনীর উপর sey দুটোর জন্যই কোম্পানীর দ্বাঁরস্থ না হয়ে
গত্যস্তর নেই । রলাইভের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত এই দ্বৈত শাসনব্যবস্থা বাংল]
দেশের জীবনে এক চরম ছুর্ধোগ ডেকে এনেছিল । দায়িত্হীন শাসনব্যবস্থা
ও মিষুর অথমনৈতিক শোষণের ভয়াবহ পরিণতি ছিয়াত্তরের মন্বস্তর
(ইং ১৭৬৯--১৭*)। এমত অবস্থায় স্বভাবতই ব্রিটিশ সরকার ইস্ট ইণ্ডিয়া
কোম্পানীর কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ না করা সমীচীন বোধ করলেন না।
ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর ভারতীয় কার্যকল|প সম্বন্ধে বিবরণ দাখিল করার জন্য
পার্লামেন্ট একটি কমিটি নিয়োগ করলেন | এই কমিটি কোম্পানীর কাজের
তীব্র সমালোচন] করে তাঁর বিরুদ্ধে এক বিবরণ পেশ করেন। ফলে
কোম্পানীর কার্যকলাপকে নিয়ন্ত্রিত করার Ga ১৭৭৩
নর্থের cre ree '
জ্যাক সালে প্রধানমন্ত্রী লর্ড নর্থের নেতৃত্বে ব্রিটিশ পালামেণ্ট একটি
«আইন পাস করে। এই আইনটিকে মর্থের রেগুলেটিং
arts ( Regulating Act—1773 ) বলা হয়। এই আইন অনুনারে বাংলা
দেশের শাসনের দায়িত্ব সপরিষদ গভর্ণর জেনারেলের হাতে BS করা হয় এবং