কামিনী কাঞ্চন | Kamini Kanchan

বিড়ি আছে--তোর হাফ, আমার হাফ | আমি একটু দূরে বসলুম | ছেলেটার জামা-প্যান্ট নোংরা । লাল চুলে ৷ গায়ে গন্ধ ৷ বিড়ি ধরিয়ে বললে-_সিনেমার টিকিট ae করতে পারলে হেভি লাভ | বিড়িটা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললে, নে টান । -_আমি বিড়ি খাই না | ছেলেটা অনেকক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বললে--তুই তাহলে ভদ্দরলোক | লাইনে নতুন এসেছিস । -_আমরা গরিব ভদ্দরলোক | -_তাহলে তো শালা না খেয়ে মরবি । কোনওদিন লোহা, পেতলের লাইনে যেতে পারবি না | -_সেটা কী ? --পার্কের রেলিং, লোকের বাড়ির দরজার কড়া, কলের মুখ, নর্দমার ঢাকা, এসব গেঁড়াতে পারবি ? মটোর গাড়ির লাইন আরও ভাল ৷ পেট্্রলের ক্যাপ, ওয়াইপার, হাবক্যাপ, সব খোলা যায় । হাতে হাতে WA! জুতোর লাইন আছে | মন্দিরে মা মা করছে, জুতো নিয়ে চম্পট ৷ গঙ্গার ঘাটে পেতলের ঘটি রেখে ভুব মারছে | চোখ রাখবি | যেই ডুব মারবে ঘটিটা তুল নিয়ে মার হাওয়া । একটা ঘটি হাপিস করতে পারলে একদিনের কামাই | তারপর বড় হয়ে যেই সাইকেলের প্যাডেলে পা পাবি, তখন সাইকেল চুরির লাইনে চলে যাবি। শালা ভদ্দরলোক ! লেখা-পড়া ধরেছিস ? Bl স্কুলে পড়ছি। -_তবে তো মরেছিস | পড়বি এক আর করবি এক ৷ নে fafwa শেষ টানটা টান | তোর নাম কী ? TAS | -_আমার নাম মদন | তোর মায়ের কোনও রোজগার আছে ? --না। _ আমার মা রাস্তিরে রোজগার করে । এদিকে আয় ৷ একটা মাল দেখে যা। মদন একটা ছোট্ট চার চৌকো কৌটা বের করল । পিচবোর্ডের । তার ওপর ল্যাংটো মেয়েছেলের ছবি । একেবারে অসভ্য একটা মেয়েছেলে | আমাদের ডোবার ওপারে এইরকম একটা অসভ্য আছে। জল থেকে উঠে এইভাবে চুল ঝাড়ে । যত ভাবি দেখব না, তাও দেখি। কী রকম ভাল ১৮ তে ঢা সা তাত