আরও ভূতের গল্প | Aaro Bhuter Galpa

AMA; BAG ডেকে ওঠে কর্কশ স্বরে একটা কি ছুটো তক্ষক; কিংবা শোনা যায় শৃগাল-সভার স্বল্পস্থয়ী হট্রগোল ; এবং এই সবের উপরেও সর্বক্ষণ জেগে থাকে ঝি-বি'-ঝি'-ঝি" ক'রে ঝি-ঝি" পোকাদের একটানা আর্তনাদ! বেশ খানিকক্ষণ ধরে একলা বসে বসে শুনলুম সেই রাত্রির ধ্বনি | তারপর চোখের পাতা জড়িয়ে আসতে লাগল তন্দ্রার আমেজে | উঠি-উঠি করছি, হঠাৎ যেন অন্ধকার FOSS একেবারে আমার WL এসে দাড়াল একটা সুদীর্ঘ ছায়ামূতি। এমন আচম্বিতে এত নিঃশব্দে তার আবির্ভাব, চমকে না উঠে পারলুম না । শুধালুম, “কে ?” অন্ধকারে দেখতে পেলুম, মুতির চোখছুটো চক্চক্‌ করে DIA | সে অত্যন্ত গম্ভীর ও OBI বললে,_ক্ষধার্ত অতিথি 1” —“afefe ! এই রাত্রে 2” -ক্ষ্ধার্তের সময় অসময় নেই। কেবল স্ষুধার্ত নই, আমি শীতার্তও। শীতে ঠক্‌-ঠক্‌ করে কাপছি। আগে বাড়ীর furs একটু আশ্রয় দিন-_বাইরে আর দাড়াতে পারছি না 1” মহ বিস্ময়ে বলে উঠলুম, “বলেন কি মশাই, আপনার শীত করছে ? আর এদিকে দারুণ গুমটে সিদ্ধ হয়ে আমরা মারা যেতে ব্‌্সেছি |” সে যেন কাপতে কাপতে বললে, “বিশ্বাস হচ্ছে না আমার কথায়, তাহলে এই দেখুন! কই, আপনার হাত কই ?” আমার একখানা হাত বাড়িয়ে দিলুম। সেও হাত বাড়িয়ে ধরলে আমার হাতখান|। কিন্তু পর-মুহূর্তেই আমি শিউরে উঠে তাড়াতাড়ি নিজের হাতখানা টেনে নিলুম! উঃ, কি অসম্ভব ঠাণ্ডা তার হাত | ঠিক যেন জমাট বরফ দিয়ে গড়া ! সে কাতরস্বরে বললে, “বাড়ীর ভিতরে চলুন, বাড়ীর ভিতরে চলুন ! আমি আর বাইরে দাড়াতে পারছি না !” ১২