শিক্ষিতা পতিতার-আত্মচরিত [সংস্করণ-৪] | Shikhita Patitar-Atmacharit [Ed. 4]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বাল্য ২১ বিড়াল আমি ভাল বাসিংতাম at | ফুলগাছেও আমার মন আকৃষ্ট হইত না। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাখীর নেশা আমার কমিয়া আসিয়াছিল। দ্বিতীয়বার এক মৃত Fal প্রসবের সময় আমার মায়ের মুত্যু হ্য়। আমার বয়স তখন দশ বগুসর। প্রাণে দারুণ Brats পাইলাম | মৃত্ব কি, তাহা তখন আমি বুঝিতাম। আমাকে কেহ মিথ্যা বাকো ভুলাইতে পারিল না- কেহ আমাকে সাম্ত্ননার কথা বলিতে পারিল না। আমি চীৎকার করিয়া মাটিতে লুটাইয়া কবীাদিলাম। বাবা আমাকে কোলে তুলিয়৷ লইলেন । কিন্তু আমি চিন্নশির ছাগশিশুর মত ছটুফট্‌ করিতে করিতে বাবার কোল হইতে নামিলাম। প্রতিবেশীগণ মায়ের মৃত দেহ পালঙ্কের উপর পুষ্প- মালায় সাজাইয়া কাধে shea লইয়া গেল। আমি তাহাদের পশ্চাতে ছুটিয়। চলিলাম। আমার মনে আছে, Baya যাইয়। ফুটপাতের উপর আছড়াইয়া পড়িয়াছিলাম। মুখ তুলিয়া সম্মুখে চাহিয়া দেখি, বাহকেরা দূরে চলিয়া গিয়াছে। পালঙ্কের পশ্চাদ্দিকে মায়ের আল্তা মাখান পা-দুখানি বাহির হইয়া রহিয়াছে; তাহাই আমার দৃষ্টি পথে | আজ আমার দুংখময় জীবনের কাহিনী লিখিতে বসিয়া চক্ষুর জল ঝরিতেছে। কত দিন কত দুঃখে BSP বিসর্জন করিয়াছি--- আমার মনে হইয়াছে, তাহা মায়ের সেই চরণযুগলে নিপতিত হইয়া তার শুষ্ক অলক্তক-রাগকে আরও উজ্বল করিয়া তুলিয়াছে। মায়ের মৃত্যুতে বাবা খুব কীদিয়াছিলেন। তিন দিন পর্য্যন্ত তিনি কিছু আহার ক্রেন নাই। অবশেষে বন্ধুদের সনির্ব্বন্ধ



Leave a Comment