For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ভূমিকা ৬০ we’ প্রভৃতি বিষয়ক কবিসংগীতগুলি পাছে মষ্ট হইয়া যায়, এই আশঙ্ক! করিয়া তিনি আমাকে
পুনঃ পুনঃ পত্রে লিখিয়াছেন। এইরূপ পুস্তকের উপরই তাঁহার বেশী ঝোঁক ছিল! যদিও
পল্লীর ছড়াগুলিকে ইনি অন্তরের ভালবাসা দিয়াছিলেন, তথাপি সংস্কৃত শব্দবছল কাব্যগুলির
hey সেগুলি সময়ে সময়ে তাঁহার চক্ষে স্নান বোধ হইত, এজন্য সেই পাড়াগেঁয়ে জিনিঘ-
গুলিকে বকে তুলিয়া আদর করিতে তিনি মাঝে মাঝে ভয় পাইতেন, পাছে সাহিত্যের আসরে
সত্যগণ তাঁহাকে জাতিচ্যুত করিয়৷ বসেন । বানিয়াচঙ্গ, জঙ্গলবাড়ী, রোয়াইলবাড়ী প্রভৃতি
নানা স্থানের ছড়াগুলির সংগ্রহ সম্বন্ধে তিনি একবার আমাকে লিখিয়াছিলেন, “এগুলি এত
প্রাচীন ও ইহাদের ভাষা এমন পাড়াগেয়ে যে শুনিলে হাসি পায় . . . . পয়ারের শেষ
তাগে প্রায়ই মিল নাই। এগুলি সংগ্রহ করিব কি?” অন্য একবার গ্রাম্য ভাঘার কিছু
aan frm লিখিয়াছিলেন “এই তাঘার সংগ্রহ করিব কি না আমাকঞ্চে awa লিখিয়া
জানাইবেন |” কিন্তু তিনি আমাকে পুনঃ পুনঃ মৈমনসিংহ-প্রচলিত রাবাকুষ্ণ এবং উমা-
মেনকাসম্বদ্ধীয় কবিগানের HCH ব্যাখ্যা করা ACTS তাঁহার এই Sorte আমি খুব সতেজ
হইতে দেই নাই। সেই যে GAS 'অশিষ্ট' তাঘায় অনাড়ত্বর সরলতায় পল্লীলক্ষ্যীর প্রাণাটি
ধরা দিয়াছে, সেই ছড়াগুলির উপরই আমার লোলুপ দৃষ্টি ছিল। যেহেতু কৃত্রিম তাঘার
সোনার পিঞ্জরে তোতা পাখীর স্বান হইতে পারে, কিন্তু বৃষ্টিবাদলে আকাশের ge আঙ্গিনায়ই
কোকিলের পঞ্চম স্বর পৃথিবী ছাপাইয়া উঠে। ‘MAS -সম্পাদক শ্রীযুক্ত কেদারনাথ মজুমদার মহাশয়ের উৎসাহে sweaty
বিচিত্রতাবে নানা দিক্ firm সাহিত্যিক চেষ্টায় উদ্যোগী হ'ইয়াছিলেন। “সৌরভে” তিনি
নানা বিঘয়ক প্রবন্ধ লিখিতে প্রবৃত্তহইন। এ race fois আমাকে লিখিয়াছিলেন, “চন্দ্রাবতীর
উপাখ্যান রচনা করিতে আরম্ভ করিলাম 'সৌরতে' চন্দ্রাবতীর উপাখ্যান আমার প্রথম Bers |
ইহার পরে 'লোহার মাঞ্জাস' নামে একখানি কাব্য লিখিতে আরম্ভ করি। am বাহুল্য, ইহা
চাদ সদাগর এবং বেহুলা-লক্ষ্যীন্দরের কাহিনী । ইহার সপ্তম সগ পয্যস্ত লেখা আছে।
শেষ করিতে পারি নাই। সেই সময়ে শরীরের দিকে TEATS না করিয়া গুরুতর পরিশ্রম
করিতাম। প্রাতে পত্রিকার জন্য গল্প, বিকালে উপন্যার্প ও গতীর রাত্রে লোহার মাঞ্জাস'
লিখিতাম 1” কেদারবাব্ ain fre frm ই হার সাহিতিঃক cpeta উতৎসাই দিতেছিলেন। কিন্তু
'সৌরতে' চন্দ্রকুষারবাবুর প্রবন্ধে প্রাচীন পালাগানের যে সামান্য কিছু নমুনা প্রকাশিত হ'ইয়া-
ছিল, তাহ! পড়িয়া আমি ফেদারবাবুকে ofa সংগ্রহের জন্যই প্রবন্ধলেখককে বিশেষ-
ভাবে উৎসাহিত করিতে অনুরোধ করিয়া! চিঠি লিখিয়াছিলাম। কবিকন্কের “বিদ্যাস্মুন্দর'
অপেক্ষা কবিকম্কের সম্বন্ধে কবিচতুষ্টয়-বিরচিত পালাটিই আমার নিকট বিশেষ মূল্যবান্ বলিয়!