মহুয়া-মিলন [সংস্করণ-১] | Mahuya-milan [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কাছে বন্ধক দিয়ে গুণধর ভগিনীপতি আমার কলকাতায় ঘোড়দৌড়ের মাঠে সব খুইয়ে বসে আছেন! অস্বস্তি ভরে নড়ে চড়ে বসে ATS, বলে,-__থাক থাক অতুল, সে সব পুরোনো কথা ওকে বলে লাভ কি ? -_সঙের মত ঘাড় গুজে দাড়িয়ে রইলি কেন? যা না, খুড়োকে এক কলকে তামাক সেজে দে না হতভাগী ! দাওয়ার ওপর তামাক সাজার সরঞ্জাম। ধীরে ধীরে ওপরে উঠে তামাক সাজতে বসে অচলা । পিছনে না চেয়েও বেশ বুঝতে পারে, সার্চলাইটের মত Het অন্তর্ভেদী দৃষ্টটা ওকে অনুসরণ করেই চলেছে। হঠাৎ সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়তে পড়তে কোনও রকমে তাল সামলে নিল অচলা ৷ ব্যাপার কি? ট্রেন ছাড়ল । অচলার মনে হল--_দীর্ঘ পথশঅ্রমে sty নির্জীব লৌহদানব ঘুমিয়ে পড়েছে। মানুষ ঘুমোয় নি-চুলের মুঠো ধরে টেনে-হিছইঁড়ে নিয়ে চলেছে ওকে ওদেরই ছকপাতা নির্দিষ্ট সীমারেখায়। বাইরে ঠাণ্ডা হাওয়ার সঙ্গে পিট পিটে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে অনেকক্ষণ থেকে, অচলার থেয়ালই ছিল না। কাছে দূরের স্বল্লালোক ল্যাম্প-পোষ্টগুলোর কালি-পড়া কাচের ওপর লাল অক্ষরে ষ্টেশনের নাম লেখা, -_অস্পষ্ট। অনেক কষ্টে পড়ল অচলা-_ম্যাকক্লাসকিগঞ্জ-__-কী অদ্ভুত নাম রে বাবা! জানালায় হেলান দিয়ে চোখ বুজে বসল অচলা ৷ বৃষ্টির ঝাপটা চোখে-মুখে মাথায় পিচকারির মত ছিটকে এসে পড়ে। খুব তাল লাগছিল Boats | ছিন্ন স্থৃতোয় গ্রন্থি দিয়ে আবার শুরু হয় সেলাই: প্রায় ছু'বছর বাদে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাড়ি এসেছে ইতি। সংসারের কাজকর্ম শেষ করে অনেক রাত অবধি Vara সুখ-ছুঃখের কথা কইল--শেষে ইতিই এক রকম জোর করে অচলাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিল, বললে-__রাত অনেক হল, এবার বাড়ি যা মুখপুড়ি, ভোর না হতেই তো আবার হেঁসেলে হাড়ি ঠেলতে বসবি। ১৩



Leave a Comment