For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৬/ললিত Aw মহানগরীতে যাবার কোন অসুবিধাই নেই 1 চোখের ওপর চালালেন নিজ বাবসায়ের তদারকী | আবার
ফেঁপে উঠল ars ব্যালেন্স। বসুমল্লিক পরিবার নাম যশের সঙ্গে সঙ্গে বিত্ত সম্পদও অটুট রাখতে
পারলেন। আশ্চর্য এই PTH বংশ | পঞ্চম YEAS সংসারে এল একটি মাত্র পুরুষ সম্ভান। রুদ্রশঙ্কর তাকে
ব্যবসায়ের কাজে নামাবার কথা ভাবলেন না। প্রথম থেকেই নজর রাখলেন তার শিক্ষা দীক্ষাব দিকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্রের ছাপ নিয়ে যখন বেরিয়ে এল আনন্দশঙ্কর তখন রুদ্রশঙ্কব তাকে আই এ
এস পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুত হতে বললেন। আনন্দশঙ্কর বলল, ওসব আমার ভাল লাগে না বাবা, তার চেয়ে একটা রিসার্চ-টিসার্চ করলে অনেক
বেশি SIS পাব। রুদ্রশঙ্কর মা-হারা ছেলেটিকে কোনদিনই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু বলতেন না। তাই ছেলের কথা
শুনে বললেন, বাবার লাইব্রেরিতে তো বইয়ের অভাব নেই, তাছাড়া বাইরের ছেলেমেয়েরা এসে
রিসার্চের জন্যে পুঁথিপত্র ঘেঁটে যাচ্ছে, তুমিও না হয় তাই কর। ঘরে বসে পড়াশোনার সঙ্গে
লাইব্রেরিটাও দেখাশোনা করতে পারবে। বছরখানেক তাই চলল। আনন্দশঙ্কর লাইব্রেরি নিয়েই মত্ত হয়ে রইল। রিসার্চ যা এগোল তার
চেয়ে বেশি এগোতে লাগল নানা বিষয়ে পঠন পাঠন। অসাধারণ সুপুরুষ পুত্রটির দিকে নান ধরনের মহিলার নজর পড়ছে দেখে রুদ্রশঙ্কর ছেলের বিয়ের
ব্যবস্থা করলেন। আনন্দশঙ্কর প্রতিবাদ করল না। রুদ্রশঙ্কর অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ এক অধ্যাপকের একটিমাত্র মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ের সম্বন্ধ করলেন!
মেয়েটি সদ্য গ্র্যাজুয়েট হয়েছে। রূপের সঙ্গে আকর্ষণীয় একটা কমনীয়তা মাখানো। তাই প্রথম
দৃষ্টিতেই মেয়েটিকে বসুমল্লিক পরিবারের বধূ করে আনতে দারুণ আগ্রহ বোধ করেছিলেন রুদ্রশঙ্কর। অধ্যাপক ভদ্রলোকের যে পরিমাণ বিদ্যা ছিল সে পরিমাণে বিত্ত ছিল না। তার ফলে এত বড়
বাড়ীতে কন্যাদানের প্রস্তাবে তিনি বিব্রত আর অসহায় বোধ করেছিলেন। কিন্তু তাকে অপ্রস্তুত হবার
কোন সুযোগই দেননি রুদ্রশঙ্কর। বরযাত্রী পাঠিয়েছিলেন নাম-মাত্র। অন্তরালে থেকে আতঙ্মভোলা
অধ্যাপককে কোন কিছু বুঝতে না দিয়ে তিনি কন্যাপক্ষের অনেক ব্যবস্থার দায় নিজের ওপর তুলে
নিয়েছিলেন। এক কথায় মেয়েটিকে পুত্রবধূ করে ঘরে আনার প্রবল ইচ্ছাতেই তিনি উপযাচক হয়ে সব
কিছু করে গেলেন। সুপর্ণা ঘরে এল, আর রুদ্রশঙ্করের মনে হল, বসুমল্লিক বংশে লক্ষ্মী সরস্বতীর যুগলবন্দী হল। ঝাড়লঙনটা দুলে চলেছে। নীচে সাদা ফরাসের ওপর কালো পাড় সাদা ধুতি পাঞ্জাবি পরে হাতের
ওপর মাথা রেখে একপাশ হয়ে দেহটাকে ভেঙ্গে শুয়ে পড়ে আছে আনন্দ | বিয়ের সাত আটটা দিন
অনুষ্ঠান আর আত্মীয় সমাগমে হীপিয়ে উঠেছিল আনন্দ। আজ নিস্তব্ধ বাড়ির খাসকামরায় সে পরম
নিশ্চিত্তে গড়াতে দারুণ একটা তৃপ্তি বোধ করছিল। ঝাড়টা দুলছে, নীচের ফরাসে আলোছায়ার রেখাচিত্র আঁকা হচ্ছে। সেদিকে আড়চোখে তাকিয়ে
দেখছে আনন্দশঙ্কর। ._ _ কে যেন দরজা পেরিয়ে ঘরে এসে ঢুকল। আনন্দশঙ্কর সেদিকে তাকাল না। সে জানে রোজ
সন্ধ্যায় তাকে বিরক্ত করতে আসে AEM | এই বৃদ্ধ তার পরিবারের প্রধান পরিচারক ৷ কৈশোরে মা
মারা যাবার পর প্রহাদদাই ছিল তার একমাত্র সঙ্গী | স্কুলে যাওয়া এবং ফিরে আসার সময় asics
থাকতে হয় তার সঙ্গে । গাড়িতে ড্রাইভার থাকলেও asm যদি কোনদিন ফেরার সময় না থাকত
তাহলে ঘরে এসে অনর্থ বাধাত আনন্দ। বৃদ্ধকে অশ্বের ভূমিকা নিতে হত, আর আনন্দ লাফ দিয়ে
উঠত তার পিঠের ওপর। সারা করিডোর আর হলঘরে পিঠে নিয়ে বেড়াতে হত আনন্দকে ৷ বৃদ্ধের
পিঠে আনন্দর কীল পড়ত দমাদ্দম। কলেজে ঢুকতে চিত্রের একটু বদল হৃল। ASM রোজই আসত গাড়িতে আনন্দের সঙ্গে । বসে