ব্যবধান | Byabadhan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ব্যবধান তোমাকে আগে করে দেব আর কি। এখন বাজে প্রায় পৌনে নয়টা, বলে টিভির সামনে গিয়ে খবর দেখে তবেই চানে যাবে। সমুদ্রের ঢেউয়ের মতোই উতালপাথাল মণিময়ের জীবন সংগ্রাম, রুটিন মাফিক জীবনে তার বিচিত্রতা নেই বললেই চলে। অবিচলিতভাবেই কাটিয়েছে অতীতের জমজমাট মিশ্রিত দিনগুলি। এখন অবিশিযি পূর্ণমর্যাদা নিয়েই সংসারে আছে। শোভার মতো স্ত্রীভাগ্য মণিময়ের শাস্তির একটা বিশাল প্রতীক | তাই স্বল্প আয়েও পূর্ণ শাস্তি বজায় আছে মণিময়ের সংসারে । অসীম জামা কাপড় পরে রেডি বেরোবার জন্য | বলল, কী গো মা — খাওয়ার কিছু পাব ? খুউব ক্ষিদে পেয়েছে। যাই হোক একটা কিছু দাও না — ইসস — পাচ্ছিনা সহ্য করতে | পেটে হাত দিয়ে রান্না ঘরের মেঝেতেই বসে পড়ল। শোভা ছেলের দিকে তাকিয়ে একটু হেসে বলল — St St দিচ্ছি বাবা। একটু অপেক্ষা কর — দুটো রুটি ক'রে দিচ্ছি। জীবনের সায়াহ্নে এসে শোভার পক্ষে এত পরিশ্রম খুবই কষ্টকর। সংসারটাতো নিজের, করতে তো হবেই। অনেক সময়েই SAT ওঠে শোভা। বাতের যন্ত্রণায় মাঝেমধ্যে কষ্ট পায়। হা- পিত্যেশ করলে তো সংসার অচল হয়ে যাবে | তাই মণিময়ের দিকে তাকিয়ে সবকিছুই মুখ ধুজে AY করতে থাকে | খুব একটা বড়লোক বাড়ির মেয়ে নয় শোভা | শোভার বাবা ছিলেন তখনকার দিনের পোষ্টমাষ্টার। বদলির চাকুরি ছিল। শোভার বাবার নিজস্ব বাড়ি ছিল শাস্তিপুরে। শাস্তিপুর শহর থেকে অনতিদূরে একটা ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামে | পড়াশুনা স্কুল ARG | তারপরেই বিয়ে হয়ে যায়। খুব অল্প বয়সেই সংসারে প্রবেশ, তাই স্বাভাবিক ভাবেই হাঁপিয়ে উঠেছে। অসীম প্রাতরাশ করে বেরিয়ে গেল। মণিময়ও খাওয়া দাওয়া সেরে সময় মতো বেরিয়ে পড়ল স্কুলের উদ্দেশ্যে । বেলা বাজে প্রায় সোয়া এগারটা। রান্না-বান্না শেষ করে নিয়ে রেখার খাওয়ারটা ঢেকে রাখল | নিজে খেয়ে নিল সামান্য কিছু । রেখা এলে চা খাবে | গুমোট গরম তাই বারান্দায় হাত পাখাটা নিয়ে বসল CAST হঠাৎই রেখার বান্ধবী চম্পা এসে ঢুকল — মাসিমা, রেখা বাড়িতে নেই? শোভা একগাল হেসে বলল-_- নারে মা রেখা এখনও আসেনি | এত দেরি হচ্ছে কেন বুঝতে পারছি না। আয়, আয় তুই এসে AIPA | মোড়াটা এগিয়ে দিল। চম্পা বলল না মাসিমা বসব না। একটা বই নিতে GET | থাকগে বিকেলের দিকে না হয় আসব আবার | এখন যাই মাসিমা | বলে চলে গেল চম্পা | মণিময়ের বাড়ির তিনচারটা বাড়ি পরেই চম্পাদের বাড়ি। চম্পাও প্রাইভেট বি.এ. পরীক্ষা দেবে। ওর বাবা নেই!। কোন রকমে সার চলে যায়। ওর একটা বড় দিদি আছে। বিয়েও হয়েছে -__ তবে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিশেষ সুবিধার নয়। স্বামীও তেমনি | টাকার খাঁই বেশি | তাই মায়াকে, ওর দিদির নাম, যথেষ্ট অত্যাচার সহ্য করতে হয়। গ্রামে গঞ্জে শহরে তো এই সব এখন প্রায়শই শোমা যায়। দুপুরে কড়া রোদের তাপে গরমটা হয়ে উঠেছে অসহনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে কেউ বেরোয় না। মাঠের কাজের ব্যস্ততাও অনেকটা কম। সকালবেলা কিছুটা বাতাস ছিল-_ এখন যেন ১৪



Leave a Comment