প্রভাত রায়ের রচনা সংগ্রহ ও স্মৃতিকথা | Prabhat Royer Rachana Sangraha O Smritikatha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তখন ললিত মোহন দেববর্মা (বিভাদীয় হাকিম) পরিবার পরিজন সহ হাতীর পিঠে চড়ে জঙ্গল পার হয়ে আগরতলায় চলে আসেন। এই ঘটনার জন্য অনেক বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়েছে। অমিয়া দেবী ও পরে বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেন। এবং মারা যান। প্রয়াত ললিত মোহন দেববর্মা ভাগনের এই দুঃসাহসীক কীর্তি অনেকদিন পর্যন্ত বরদাস্ত করতে পারলেন A | তবু স্বাধীনতার আন্দোলনের ইতিহাসে এদের আত্মত্যাগের কাহিনী চিরস্মরণীয় হয়ে ABS | রাজ্যবাসী প্রজা প্রভাত রায় ও অন্যান্যদের ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত হয়ে জেলে আটক হওয়া বিচার সাপেক্ষ। স্বাধীন ত্রিপুরা রাজ্যের প্রজা হিসাবে বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা বৃটিশ রেসিডেন্ট কমিশনারের সঙ্গে ত্রিপুরা সরকারের অনেক লিখালিখি হয় এবং তাদের আগরতলা সেন্ট্রাল জেলে SMT রাখাই AAS হয়। পরে দেখা যায় প্রভাত রায়ের বিরুদ্ধে রিভলবার চুরির কোন কেইস দায়ের করা হয়নি। বৃটিশ আন্দোলনে যুক্ত বলেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৩১ সাল থেকে একটানা ৫ বৎসর যাবৎ অন্তরীণ অবস্থায় প্রভাত রায় ১৯৩৬ সালে ডিষ্টিংশনে বি এপাশ করেন। পাঠ্য বই ছাড়াও আউট বই পড়া তার বরাবরই অভ্যাস ছিল। জেলে বসে বিভিন্ন বড় বড় লেখকের বই পড়ে সময় কাটাতেন। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, অতুল প্রসাদ, বঙ্কিমচন্দ্র, দ্বিজেন্দ্র লাল, শেলী, SIG, বায়রণ প্রমুখের লেখা তার জীবনে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিল। কারা জীবনে দিনের পর দিন একা তাই তাঁর খেলাধূলা, সাথী সান্ত্বনা, হাসি, অশ্রু বলতে বই-ই সম্বল ছিল। তাছাড়া সাহিত্যের প্রতি তিনি প্রবল অনুরাগী ছিলেন। প্রথমবার কারাজীবনে লিখেছৈন বহু কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ গান, সমালোচনা ইত্যাদি। তবে তাঁর লেখার সূচীপত্র অনুযয়ী আমরা তার সহধর্মিনী শ্লীমতী হাসি রায়ের কাছ থেকে যতটুকু পেয়েছি ততটুকুই এই বইয়ে প্রকাশ করেছি। শ্রীমতী রায় যতটুকু সাধ্য স্বামীর অবদানের সম্বলগুলি সযত্ত্রে রেখেছিলেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ইতিহাস হিসাবে তুলে ধরতে প্রয়াত ঠাকুর প্রভাত রায় সম্পর্কে বা তার নিজের লেখা প্রকাশ করতে আমাদের বিশেষ কোন অসুবিধা হয়নি কারণ তিনি স্পষ্টভাবে সুন্দর হস্তাক্ষরে লেখাগুলিতে দিন তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ রেখেছেন তবুও আমাদের অনভিজ্ঞতা বা না বোঝার জন্য লেখার ক্ষেত্রে ক্রটি হয়ে থাকলে পাঠকের কাছে ক্ষমা ALN প্রয়াত প্রভাত রায়ের লেখা “ত্রিপুরা রাজ্যে প্রজা আন্দোলনের ইতিহাস” প্রবন্ধে পাওয়া যায় ত্রিপুরায় গণ আন্দোলনের প্রথম ভিত্তি “সবুজ সমিতি” তিনি অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে সবুজ সমিতি গঠন করেন এবং বাড়ী বাড়ী মুষ্টি ভিক্ষা সংগ্রহ করতেন এবং সংগৃহীত চাউল বিক্রি করে গরীব ছাত্রদের বই কেনার ব্যবস্থা করতেন। তিনি নিজেই গরীব ছাত্রদের পড়াতেন। ছাত্রদের জন্য কোচ্টিং ক্লাশের ব্যবস্থা করেছিলেন। এরপর ১৯৩৮ সালে (১৩ই ভাদ্র ১৩৪৮ far) সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে গঠিত ত্রিপুরা রাজ্যে, একমাত্র রাজনৈতিক গণপ্রতিষ্ঠান জনমঙ্গল সমিতি। এর নেতৃত্বে ছিলেন পন্ডিত গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, অমনেস্দ্র দেববর্মা এবং ঠাকুর প্রভাত চন্দ্র রায়। বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে সমিতি প্রায় দেড় বৎসর চলতে থাকে কিন্তু সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রভাত রায় ও সদর বিভাগীয় সম্পাদক অমরেন্দ্র দেববর্মার (বংশী ঠাকুর) GMT অবস্থার প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই সমিতির ভাগ্য বিপর্যয় ১৪



Leave a Comment