For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১০ ভারত-আত্মার বাণী কর্মফলের অখণ্ডনীয়তা, কর্মের বন্ধকত্ব, এবং সন্ন্যাসের মাহাত্ম্য প্রচারিত হইতেছিল।
কিন্তু সন্ন্যাস তো কেবল দণ্ড-কমণ্ডলু-গেরিকবসন AT | আর প্রকৃত মুমুক্ষত্বও অতি
দুর্লভ Ie | ফলে, জীবন-সংগ্রামে অক্ষম, কর্মক্ষম অথচ কর্ম-বিমুখ অলস অনদৃষ্টবাদীর সৃষ্টি,
দলে দলে অনধিকারীর সন্ন্যাস গ্রহণ, ধর্মধবজী ভিক্ষোপজীবীর সংখ্যাবৃদ্ধি। সামাজিক
কাঠামোও পূর্ব হইতেই বিপর্যস্ত হইয়া পড়িতেছিল। প্রাচীন গুণগত বর্ণ-ভেদ বংশগত
জাতিভেদে পরিণত হইয়া পড়িল, জাতির সংখ্যাও অসংখ্য হইয়া উঠিল। বর্ণভেদের
আধ্যাত্মিক ভিত্তি লোপ পাইল, অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তাও কিছু রহিল না। উহা
অর্থহীন আচারমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হইয়া মানুষে মানুষে দুর্লঙঘ্য প্রাচীর সৃষ্টি
করিয়া সমাজে ভেদ-বিরোধের কারণ হইয়া উঠিল। এইরূপে সমাজের সংহতি-
শক্তি লোপ পাইল, প্রাণ-শক্তি ক্ষীণ হইয়া পড়িল, সত্বগুণাশ্রিত অতি অল্পসংখ্যক
লোক সমাজ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া জ্ঞান-ভক্তির চর্চায় নিযুক্ত রহিলেন। তমোগুণাক্রান্ত
নিদ্রাভিভূত জনসাধারণ বহিঃশত্রুর আক্রমণে চমকিত হইয়া 'কপালং মূলং' বলিয়া
পুনরায় চক্ষু মুদিল। সকল জাতির ইতিহাসেই উন্নতি-অবনতি, উত্থান-পতন ও পুনরুখানের যুগ
আছে। পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের কেহ 'কেহ এই শেষ যুগের দুঃখবাদাত্মক সন্ন্যাসমূলক
ধর্ম-দর্শনের আলোচনা করিয়া এইরূপ সিদ্ধান্ত করিতে চাহেন যে, আধ্যাত্মিকতাই
ভারতের অবনতির কারণ | উহার পশ্চাতে যে গৌরবময় ইতিহাস রহিয়াছে উহা
তাহারা লক্ষ্য করেন নাই, ভারতীয় অধ্যাত্য-সংস্কৃতির প্রকৃত স্বরূপও তাহারা ধরিতে
পারেন নাই। পরাধীন জাতির গৌরবের কথা কে বলিতে যায়? আধুনিক যুগে যুগাচার্য স্বামী বিবেকানন্দ ভারতের আধ্যাত্মিক সংস্কৃতির স্বরূপ
স্বীয় কর্মে, বাক্যে, সাধনায় প্রকৃষ্টরূপে প্রদর্শন করিয়া একদিকে অধ্যাত্মজ্ঞান এবং
অপরদিকে কর্ম-মাহাত্ম্য প্রচার দ্বারা তমোভিভূত, আত্মবিস্মৃত মৃতপ্রায় জাতিকে
উজ্জীবিত করিতেছিলেন। উহা হইতেই ভারতের নবজাগরণের সূচনা। পরে আসিল
মহাত্মা গান্ধীর স্বাধীনতা-সংগ্রাম। ইহাও আধ্যাত্মিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।
রাজনীতি-ক্ষেত্রে অকৃণষ্ঠভাবে সত্য ও অহিংসনীতির প্রবর্তন জগতে এই AMT |