এক বসন্ত দুই ঋতু | Ek Basanta Dui Ritu

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২০ এক TAS দুই W দেখা দিলে বিবেক কেমন পরিচ্ছন্ন হয়, নিজেকে কেমন সুস্থ লাগে। রমাকে ভুলে যাবার ভয় মনে উঁকি দেয়। TNF ভুলে যাবার আতঙ্কে মন অস্বস্তিতে ভরে ওঠে। এবার মন যেন রমার পক্ষ নেয়। কল্যাণ ভাবে চুমু দেবার পর ডেকে এনে আদর করা বড়ড গ্রস্‌ হয়ে পড়ে-_অতটা মার্জিত ও রুচিসম্পন্ন ভাবে ওর গানের সাড়া দেবার পর এখুনি প্রবৃত্তিকে মুক্ত ভাবে কাজ করতে দিলে আগের সেই সুন্দর মুহূর্তটির অপমান করা হবে। তাছাড়া, কল্যাণ নিজেকে জানাল, কিছু আগেই আদর করা থেকে নিজেকে সংযত করেছি-_এখন রীনা সেই সংযমকে হিপোক্র্যাসি ভাববে ।....কেমন ING লাগে কল্যাণের, মনে হয় রমার চিস্তা যেন কিছুতেই ওর চেতনায় পথ করে আসতে পারছে না। রমার চিত্র ও রমার ভাবনা ওর চেতনায় প্রবেশ করবার জন্যে সংগ্রামে যেন কল্যাণ ক্লাস্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু মনে মনে খুব খুশিই হবে। নিজেকে ক্লান্ত ও অবসন্ন, মনে হচ্ছে অথচ কল্পনায় রীনার আদর-তৃপ্ত প্রসন্ন চেহারা দেখে মনে মনে কল্যাণ এবার যেন বিরক্ত হয়ে ets | বিরক্তি ওর মনে কিছু জোর এনে দেয়-_ঠিক করে, এখন আদর থাক। মনে হয় রীনা যেন জুলুম করে আদর খায়। রীনার ওপর বিরক্তি আনবার ঝাজ রমার ওপর গিয়ে পড়ে। হঠাৎ মনে হয়, রমা এমন কিছু মেয়ে না হয়েও, এমন কিছু সুন্দরী না হয়ে, ওকে আকর্ষণ করছে ক্রমাগত--এ আকর্ষণ যেন এক ধরনের বঞ্চনা মাত্র। রমা যেন আকর্ষণ করে ওকে ঠকাচ্ছে। রমার fours প্রবেশ নিষেধ হয়ে যায়। কল্যাণ মহা বিরক্তিতে গুম হয়ে বসে থাকে। গ্যাসে রান্না বসিয়ে রীনার মনে হয়, সন্ধেবেলা বা রাত হলে মন যেন অনেকটা শাস্ত হয়। নিজেকে খানিকটা উদ্বেগমুক্ত, খানিকটা তৃষ্ণার অত্যাচার থেকেও মুক্ত মনে হয়। দু'একটা ঢেউ উঠলে স্কুল থেকে ফেরবার পর সময়টা মোটামুটি নিস্তরঙ্গ। অবশ্য আগামিকাল সকালের জন্য মন-উন্মুখ হয়ে থাকত তা নয়। তবে সকালে যেমন থাকে তেমন নয়। অন্যমনস্কভাবে সকালের কথা স্মরণ করে রীনা। সেই সাত সকালে উঠে ওর কাজ আরম্ভ হয়ে যায়-_স্কুল যেন ক্রমাগত ওকে আকর্ষণ করতে ATH স্কুলে যাবার জন্য দারুণ উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ওকে অস্থির করে তোলে। কিছুই ভালো লাগে না। ঝড়ের বেগে ঝিকে দিয়ে কাজ করায়, রান্না সারে। কল্যাণকে তৈরি হবার জন্য তাড়া দেয়, নিজেও তৈরি হতে NH স্কুলে পৌছাবার তৃষ্ণা ওর দেহ মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে। বাড়ি থেকে না বের হওয়া পর্যন্ত বিশ্বাস হতে চায় না যে ওর শেষ পর্যন্ত স্কুলে যাওয়া ঘটবে। অথচ স্কুলে গিয়ে বিমলেন্দুর সঙ্গে তক্ষুণি যে ওর কথাবার্তা হয়-_তেমন নয়। তবু একটা উত্তেজনা ওকে এমন ভাবে চালিয়ে নিয়ে যায়--ওর পঞ্চ ইন্দ্রিয় তীক্ষুভাবে সচেতন WH থাকে। এখন বা এর আগে কখন সন্ধ্যেবেলায় রীনার মনে হয়েছে, বিমলেন্দুর আকর্ষণ সকাল বেলায় যেন অত্যাচারের মতো হয়ে দীড়ায়। অথচ সকালবেলার সকল কাজকর্মের মধ্যে একবারও বিমলেন্দুকে ওর স্পষ্ট মনে হয় না-_-চেহারার কথাও মনে আনে না। স্কুলে যাবার প্রবল আকর্ষণই বোধ করে-_এ সময়ে বিমলেন্দুর কথা ও কাহিনিকে কিছুতেই মনে পড়তে দেয় না রীনা। পাছে অসময়ে মনে পড়লে বিমলেন্দুকে ভাববার amit ফিকে হয়ে যায়। আরামে রয়েসয়ে বিমলেন্দুর সামনেই বিলেন্দুকে অনুভব করতে চায়--আগাম ভেবে বিমলেন্দুকে কমিয়ে দিতে ফুরিয়ে দিতে



Leave a Comment