শ্রীভূমির বাণভট্ট | Sreebhumir Banabhatta

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ঈশান কবি। পরিচিত অপরিচিত সবাইকে কবিতা শোনায়। কবিতা বলতে আলস্য নেই। সে লক্ষ করেছে অধিকাংশ মানুষ কবিতা বোঝে না এবং কবিতা পাঠ করে না। এই সুযোগ নিয়ে অন্যের কবিতা নিজের বলে চালিয়ে দেয়। অন্যদিকে রুদ্র কবিতার পাঠক । কবিতা ভালবাসে। aera অনুরোধে ঈশান sre আবৃত্তি করে। was মছুঅর ফুল্প অরবিন্দ, নব কেসুকানন জুলিঅ। অন্য লাইনে যাবে৷ সব্বদেশ পিকরাব বুল্লিঅ, সিঅল পবন লহু বহই ৷” বাণ, ঈশানকে জড়িয়ে বলাতে লাগল — “ঈশান! কী সুন্দর! ভ্রমর উড়ছে পদ্ম ফুটে আছে। নবীন কিংশুক কানন ফুলে ভরে গেছে। আ-হা! কী সুন্দর! কোকিলের কুহু রব। মধুর বাতাস! আ-হা!" রুদ্র চুপ করে মিটি মিটি হাসে। মাত্র সে দিন প্রাকৃত পৈঙ্গল কাবাগ্রন্থে এ কবিতা পাঠ করেছে। ঈশানকে বলে, সুন্দর কবিতা। হঠাৎ রুদ্র, শোনবিলের দিকে তাকিয়ে হাত তুলে উঁচু গলায় বলে — 'দেখো — দেখো ।' দেখা যায় ভীষণ বেগে নৌকা আসছে। লম্বা নৌকা | অনেক মাল্লা। বলতে গেলে চোখের পলকে ঘাটের কাছে পৌঁছায় । পঁচিশ-ত্রিশ জন মাল্লা। নৌকার মাঝখানে ছই। নৌকা ঘাটে লাগতে না লাগতে SAE জন মাঝিমাল্লা লাফিয়ে নেমে নৌকা dra তিন জন, কাধে ঢাক ঝুলিয়ে নেমে, ঢাক পিটিয়ে ঘোষণা করে -- “শোনো — শোনো — শোনো সর্বজন শ্রদ্ধেয় মহামান্য শ্রীগাপালের আগমন হইয়াছে। এতদ্বারা সকল গ্রামের সকল CME অনতি বিলম্বে শান্মলী অগ্রহারের ব্রাহ্মণ্যাধিবাসের কুতকুটট দেব মন্দিরের প্রাঙ্গণে মূহূর্তমধ্যে-হাজির হইতে আলদশ দেওয়া Servers! ... যুদ্ধ আরম্ভ হইয়া গিয়াছে ' ... শোনো! শেণনা! শোনো! তিনজন ঢাক পিটিয়ে corse ara ara তিনদিক্ে এগিয়ে যায় ' নৌকা থেকে শ্রীগেপাল নামমন। বাণ, শ্রীগোপালের সাথে পরিচিত। এই মুহূর্তে মানে হাচ্ছে, যেন অন্য ape | সাদা COME | মাথায় সাদা পাগড়ি। গলায় মুক্তার মালা। tel sea) ব্যায়াম কঠিন দীর্ঘ দেহ। সোনার মত গায়ের রং। মুহূর্ত মধ্য গ্রামের গোপ a 'ঘে'ড়া নিয়ে হাজ্জির হয়। একটিতে শ্রীগোপস'ল অনাটিতে একজন সৈনিক খোলা তলোয়ার নিয়ে উঠে র্রাহ্মণ্যাধিবাসের পথ ধরে এগিয়ে যায়। sera দল বেধে ঘোড়ার পিছানে এগিয়ে চল। কয়েকজন মাল! ছোটা বড়ো কাঠের 'তোরঙ্গ কাধে করে নিয়ে যায়। বাণ লক্ষ কারে মাল্লাবা পরিচিত সাধারণ মাল্লার মাতো ae রুচিসম্মত পোশাক | মাথায় পাগড়ি। কোমরে তলোয়ার অতর্কিত ঈশান বলে -- PR! যুদ্ধ আরম্ভ হায় গেছে? বাণ প্রশ্ন করে + "কার সাথে যুদ্ধ বেঁধেছে?” রুদ্র বলে 'এখনই বাবাকে খবর দিতে হবে” .. রুদ্র বাড়ি, ঘাটের কাছাকাছি 1 বাবা উন্মিলন স্বামী শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি । শাঙ্মলী গ্লামের পূর্ব- সীমান্তে কৌশিকা নদীর তীরে বাড়ি। ১৬



Leave a Comment