মনীষিজীবন ও বিচিত্র প্রসঙ্গ | Manishijiban O Bichitra Prasanga

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অয়, তিনি খাওয়ার ব্যাপারেও খুব বিলাসী ছিলেন Sta বাড়িতে 'মন্ডে mie’ বলে যে রসচক্রুটির প্রতিষ্ঠা হয়, অনেকে বলেন এই রসচক্রের আদি নাম ছিল মণ্ডা ক্লাব। খাওয়াদাওয়ার আতিশয্যের কথা ভেবেও এই নাম হওয়া বিচিত্র নয়। এই সমিতির উল্লেখযোগ্য সভ্য ছিলেন--অতুলপ্রসাদ সেন, অজিতকুমার চক্রবর্তী, স্থনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, অমল হোম, কালিদাস নাগ, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি । দ্বিজেজ্্রলাল প্রতিষ্ঠিত “পূর্ণিমা মিলন” সাহিত্যসভার অনুষ্ঠানশেষেও এরূপ খাওয়া-দাওয়ার রীতি ছিল । কান্তকবি রজনীকান্তও খুব ভোজনবিলাসী ছিলেন। তাঁর জননী 'মনোমোহিনী দেবী রজ্ধনশিল্পে অসাধারণ দক্ষতালাভ করেছিলেন। এ- জন্যে রজনীকান্তের পিতা তাকে 'রান্নার BR বলে ডাকতেন ৷ মনোমোহিনী “দেবীর হাতে তৈরী পুলিপিঠা শুধু রজনীকান্তই নয়, সেকালের অনেকের কাছেই অত্যন্ত লোভনীয় বস্তু ছিল । আজ সে রামও নেই, সে অযোধ্যাও অস্তমিত । অথচ খাস্যবস্ত জীবনের অনেকখানি স্থান জুড়ে আছে। একজন বিদেশী পুষ্টিবিশেষজ্ঞ একবার acafscert—‘Tell me what you eat, I shall tell you what you are |’ আজ আমরা জাতীয় জীবনের সবক্ষেত্রে যুগান্তকারী প্রতিভার অভাব অনুভব করছি--এই সব প্রতিভার অভাবের যুলে যে খাদের অস্বচ্ছলতাই প্রধান কারণ নয়, তাই বা কে বলতে পারে! ১৬৩



Leave a Comment