প্রাচীন নাট্যপ্রসঙ্গ | Prachin Natyaprasanga

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ট প্রাচীন নাট্য প্রসঙ্গ ও কল্পনার বিরোধিতা মায়ার জগতেই WT লাভ করে। তারই ফলে, WSS মানুষ অভিভূত না হয়ে পারে না। এই জন্যই কাব্যের ভাষার মধ্যে জাদুর সব গুণগুলিই বর্তমান। একথা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, আদিম কাব্যের প্রকৃতি আজকের কাব্য থেকে অনেক পৃথক | আদিম কাব্য আর সংগীতে কোনে পার্থক্য ছিল না। আর এই কাব্য বা সংগীত ছিল সর্বক্ষেত্রে কায়িকভঙ্গি ও যন্ত্রসংগীতের সঙ্গে জড়িত। নৃত্য, সংগীত ও কাব্য একই জন্মসূত্রে আবদ্ধ। এদের মধ্যে প্রথমে পৃথক হয়েছে নৃত্য। তারপর ধীরে ধীরে সংগীত থেকে পৃথক হয়েছে কাব্য । সংগীতে কাব্যাংশ হচ্ছে ভাববস্তু (content), আর কাব্যে সংগীতাংশ হচ্ছে তার বহিরঙ্গ (form)! বহিরঙ্গকে (form) অপ্রধান রেখে যখনই Slag প্রাধান্য লাভ করেছে, তখনই পৃথক হয়ে পড়েছে বিশুদ্ধ কাব্য । কাব্যে সংগীতাংশ সহজ এবং সরল। অন্যদিকে সংগীতে কাব্যাংশ অর্থাৎ Stay প্রধান্য লাভ না করায় বহিরঙ্গের জটিলতা ও সূক্ষাতায় পৃথক শাখার উদ্ভব হয়েছে। কাব্যে একটি স্কুসংবন্ধ বক্তব্য অথবা কাহিনী প্রয়োজন। কাব্যের এই কাহিনী অথবা বক্তব্য ক্রমশ সংগীত-নিরপেক্ষ হওয়ায় অতিআধুনিক যুগে স্ত্ছি হয়েছে গদ্যকাব্য উপন্যাসের-_যার মধ্যে তাললয়-সমগ্বিত ভাষাকে স্থানচ্যুত করেছে দৈনন্দিন জীবনের আটপোরে ভাষা | আবার অন্যদিকে, ভাষাকে সম্পূর্ণ বর্জন করে স্ঠ্টি হয়েছে এক- সংগীতের (sympohny)| অধ্যাপক টমসনের slaty: “এক- সংগীত আধুনিক উপন্যাসের সম্পূর্ণ বিপরীত। উপন্যাস তাললয় বজিত ভাষা, আর এক-সংগীত Stes তাল আর লয় মাত্র। উপন্যাসে কাহিনীর ay এবং বাস্তবতা অক্ষুন্ন রাখাটাই বড় কথা; উপন্যাসের বিষয়বস্তু গৃহীত হয় দৈনন্দিন জীবন থেকে। কিন্তু তাললয়ের একটা মোটা কাঠামো ছাড়া এক-সংগীতের মধ্যে আপাত- দৃষ্টিতে কোনে GIS নেই; আর এর বিষয়বস্তুও আহরিত হয় সম্পূর্ণ



Leave a Comment