For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)বাঙ্গালার আদিম অধিবাসী ও আর্যবিজয় রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাচীন মিশর, বাবিরুষ (Babylon) ও আসুর (Assyria) দেশের প্রাচীনকালের ইতিহাস
পর্যালোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, এই সকল দেশে অতি প্রাচীনকাল হইতে
তাম্রনির্মিত অস্ত্রের প্রচলন ছিল। প্রত্নবিদ্যাবিদ্গণ অনুমান করেন যে, মিশরদেশে সাম্রাজ্যের
যুগের ACL (Predynastic Age) STAT ব্যবহার Gta হইয়াছিল১। খ্রিস্টের জন্মের চারি
সহস্র বৎসর পূর্বে মিশরদেশে প্রথম সাম্রাজ্য স্থাপিত হয়, ইহার পূর্ব হইতে মিশরে তাম্রনির্মিত
অস্ত্রের ব্যবহার ছিল। পণ্ডিতগণ অনুমান করেন যে, faova জন্মের চারি Ay বৎসর
পূর্বে প্রাচীন বাবিরুষে তান্রের ব্যবহার ছিল। মিশর, বাবিরুষ* প্রভৃতি প্রাচীনরাজ্যে ২০০০
খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত তাম্রের ব্যবহার অপ্রতিহত ছিল। flood জন্মের সার্ধ সহস্র বা দ্বিসহস্রবর্ষ
পূর্বে প্লাচীন আর্য জাতি এশিয়াখণ্ডের মধ্যভাগে অবস্থিত মরুময় পুরাতন আবাসভূমি
পরিত্যাগ করিয়া দক্ষিণাভিমুখে অগ্রসর হইতে আরম্ভ করেন। আর্যগণের Seas, খ্রিস্টের
জন্মের পঞ্চদশ শতাব্দী পূর্বে বাবিরুষ ও মিশর দেশের প্রাচীন সাম্রাজ্যগুলি ধ্বংস হইয়া
যায়। খ্রিস্টপূর্ব ষোড়শ শতাব্দীতে আর্যবংশজাত কাশীয়জাতি (Kassites, Cossites, Kaso-
shu) বাবিরুষ অধিকার করিয়া নূতন রাজ্যস্থাপন করেন। কাশীয়গণ যে আর্যজাতীয় সে
বিষয়ে এখন আর কাহারও সন্দেহ নাই। তাহাদিগের সর্বপ্রধান দেবতার নাম সূর্যস্ এবং
তাহাদিগের ভাষা আর্যজাতিসমূহের ভাষার অনুরূপ। কাশীয়গণের পবন দেবতার নাম TIS]
(সংস্কৃত মরুৎ)। ইহারা তাহাদিগের খোদিত লিপি সমূহে আপনাদিগকে খারি অর্থাৎ আর্য
নামে অভিহিত করিতেন। বাবিরুষযের উত্তর-পশ্চিমে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদদ্বয়ের মধ্যে
আর্যবংশসম্ভূত aqigty মিতান্নিজাতি একটি স্বতন্ত্র রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। ১৯০৯
খ্রিস্টাব্দে জার্মান পণ্ডিত হিউগো Casta (Hugo Winckler) তুরস্করাজ্যে যোগাজকোই
নামক স্থানে কীলকাক্ষরে (Cuneiform) লিখিত প্রাচীন মিতান্নিরাজগণের কতকগুলি মৃন্ময় (১) Copper came gradually into use among the Pre-historic Southern Egyptians towards the end
of the Pre-dynastic Age. And they must have obtained their knowledge of it from the Northemers.—H.
R. Hall, The Ancient History of the Near East. p. 90.A *পরবর্তী ব্যাবিলন (সম্পাদক)।