বিশ্বভারতী পত্রিকা [বর্ষ-১৯] | Visvabharati Patrika [Yr. 19]

মানুষ ও বিশ্বজগৎ কালিদাস ভট্টাচার্য নিজেকে অতি উচ্চস্তরের জীব মনে করে মানুষ যতই আত্মপ্রসাদ লাভ করুক-না কেন, এ কথা SATA চলবে Al যে, তার দৈনন্দিন জীবনের বেশ অনেকখানি অংশ প্রকৃতির কঠোর নিয়মে নিয়ন্ত্রিত। আর দশ- পাচটা জীবের মত সেও একট। জীব, এবং জৈবিক ব্যবহারে জীবপ্রকৃতির নিয়ম লঙ্ঘন করার সামর্থ্য তারও নেই । তার ভৌতিক দেইটাও যেসব উপাদানে গঠিত তাদের ব্যবহার তে! আগাগোড়াই জড়প্রকৃতির অলঙ্ঘ্য নিয়মে পরিচালিত | অবশ্য, এমন অনেক কাজও সে করে IU আপাতদৃষ্টে নিছক জৈবিক প্রেরণা -উদ্ভুত বলে মনে হয় না। কত রকমের সামাজিক রীতিনীতি ধর্মীয় আচারব্যবহার সে মেনে চলে, যাদের সঙ্গে জৈবিক প্রেরণ|র কোনে! প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নেই । কিন্তু যদি এই কারণে বল! হয় যে, এইখানেই মানুষের মনুষ্যত্ব, এই একটা ব্যাপারেই WHI অন্যান্য SASS Mere অ-সমপধায়ী-- ত৷ হলে উত্তরে আমরা বলতে পারি যে, কথাটা পুরোপুরি যথার্থ হল al) এইসব রীতিনীতি-আচারব্যবহারেও সে বহুলাংশে তাদের মতই অন্ধ । মানুষের বৈশিষ্ট্য শুধু এইটুকু যে, তার কাজকর্মের CHET] অনেকখানি বিস্তৃততর। পণশুপক্ষীদের অন্ধ কাজকর্মের কিছুটা সংসাধিত হয় বিশুদ্ধ পদার্থ-ও-রসায়নবিদ্য। সম্মত প্রাকৃতিক নিয়মে, বাকিট| ঘটে সহজাত সংস্থাররশে | মানুষের বেলায় এ ছুই প্রকার কাজকর্মের উপরেও আছে সামাজিক ও ধর্মীয় ক্রিয়া- কলাপ, যেগুলিও সমভাবে TH! সহজ অঙন্ুকরণপ্রবৃত্তি ও সাম্পদায়িক এতিহের প্রতি স্বাভাবিক প্রীতির বশেই মানুষ এইসব সামাজিক ও ধর্মীয় কাজকর্ম করে। 'সামাজিক” ও “ahr এই ছুটি শব্দ এখানে বেশ ব্যাপক অর্থে ই ব্যবহার sal হচ্ছে । 'সামাজিক' কাজকর্ম বলতে বুঝতে হবে ব্যাক্সাবাঞ্জিজ্য-সংক্রান্ত এবং রাজনীতিক ও লোকহিতকর সব জাতীয় কাজ, এবং Solr শব্দে আচারব্যবহার ছাড়াও যা-কিছু আধ্যাত্মিক ব্যবহার সবই বুঝতে হবে। মোটকথা, প্রাচীন Saha যে ত্রয়ী বাত] ও দণ্ডনীতির কথা বলে গেছেন সেই ব্রিবিদ্ঠাগত অধিকাংশ কাজই মানুষ করে অন্ধভাবে। কেবল ইতরজন নয়, শিক্ষিত মানুষও জীবনের অধিকাংশ সময়েই নিছক সংস্কারবশে ব সহজ অনুকরণপ্রবৃত্তির তাড়নায় চলে । ক'জন লোক জীবনের কতখানি সময়ে ধীর চিত্তে চিন্তা ক'রে কাজ করে ? একেবারেই যে করে না, তা অবশ্য নয়। কিছু কাজ সে করে ধীর চিত্তে এবং নিজেকে সংযত রেখে | কিন্তু এই আত্মসংযম ও APG কাধের ফলাফল অনুধাবনও কি অনেকাংশে সংস্কার ও অঙনকরণপ্রবৃত্তি -জনিত নয় ? সামাজিক ও ধর্মীয় কয়েকটি মূলনীতি অন্ধভাবে গ্রহণ করে তারই নিরিখে কি সে নিজ কর্মের ফলাফল বিচার করে ale অর্থাৎ, সাধারণ জীব হিসাবে সে যে তিমিরে পড়েছিল সেই তিমিরেই কি পড়ে থাকে না ? অদ্ধকার থেকে আলোকে আসবার চেষ্টা BATS তার আছে, কিন্তু অন্ধকার কাটিয়ে উঠতে পারল কৈ ? সাঁতার যে জানে না সে 'লোষ্টরৎঙ্ড'র মত তলিয়ে যায় না ঠিক, কিন্তু জলের মধ্যে হাবুডুবু: থাওয়াকে তো সাতার কাটা বল চলে ale “ইটপাটকেলে”র সহিত ডুবস্ত প্রাণীর পার্থক্য এঁটুকু মাত্র