বিশ্বভারতী পত্রিকা [বর্ষ-২০] | Visvabharati Patrika [Yr. 20]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
গদ্ভ-ছন্দ ৫ [৩০] যে ছন্দ দিয়ে Bie] হলো এ wy ভাষার ছন্দ নয়, এ ভাবের ছন্দ । তাতে ভাবের স্বল্প গুটিকয়েক উপকরণ বাছাই করে সাজানো হয়েছে, তাই দিয়েই ওর জাদু ea নিত্য সচল কটাক্ষে অনেক না বলা কথার ইসারা রয়ে গেল | এ'কেই বলি ভাবের ছন্দ। একদিন ছিল যখন ছাপা অক্ষরের রাজ্য পত্তন হয় নি। যেমন কলকারখথানার আবির্ভাবে বস্তুর ভূরি-উৎপাদন সম্ভবপর হোলে তেমনি লিখিত ও মুদ্রিত অক্ষরের প্রসাদে সাহিত্যে শব্দ সঙ্কোচের প্রয়োজন চলে গেছে, আজ সরস্বতীর আসন বলে তার ভাঙার বলো প্রকাণ্ড মাপের। সাবেক সাহিত্ব্যের দুই বাহন তার হাতি ও ঘোড়।-_ তার WS ও শ্রুতি ছুটি নিয়েছে। তার জায়গায় এখন যে যান ব্যবহার হচ্চে তাকে নাম দেওয়া যেতে পারে লিথিতি। সে রেল গাড়ীর মতো; কোনোটা মালের গাড়ি, কোনোটা যাত্রীর গাড়ি। কোনোটাতে নিরেট বস্তুর fre, সংবাদপুঞ্ত, কোনোটাতে সজীব যাত্রী, অর্থাৎ রসসাহিত্য। তার অনেক কামরা, অনেক চাকা,-_ এক সঙ্গে মস্ত মস্ত চালান। স্থানের এই BALTIC গদ্যের ভূরি ভোজ। সাহিত্যে অক্ষরের অতিথিশালায় যখন বাক্যের এতবড়ে| সদাত্রতের আয়োজন ছিলনা তখন ছন্দের সহায়তা ছিল অত্যাবশ্যক 1 তাতে শব্দের অতিব্যয় নিবারণ হতো, আর ছন্দ আপন সাঙ্গীতিক গতিশক্তিদ্বার স্বতিকে সচল করে রাখত। সেই দিনে কাব্যে পছাছন্দের সতীন ছিল না, সেদিন বাণীর ছন্দের সঙ্গে ভাবের ছন্দের নিরনেক বিবাহ অর্থাৎ মনোগেমি ছিল প্রচলিত । এখন বই avid) অনেক স্থলেই farsa পড়, কানের GATS দাবী তাই উপেক্ষিত হতে পারে। এই জন্যে আজকাল কাব্যশ্রেণীয় রচন| অনেক স্থলে সন্ধীর্ণ পদ্য ছন্দের শাসন এড়িয়ে প্রশস্ত TORN ভাবচ্ছন্দের স্বাধীনতা দাবী FAC | [২৯] করবী গাছের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যায় তার ডালে ডালে জুড়ি জুড়ি সমান ভাগে পত্র বিন্যাস | কিন্তু বটগাছে সেই ক্ষুদ্র ভাগ অতিমাত্র চোখে পড়ে না। তাতে দেখি পত্রপুঞ্জের বড়ো ACV BaF | এই অসমান aes ভাগগুলি বনম্পতির মধ্যে একটি বৃহৎ সামঞ্জস্য পেয়েছে। অথচ পাথরের পিণ্ডীকৃত যে ভাগ আছে পাহাড়ে এ সে রকম নয়। এর মধ্যে দেখা যায় প্রাণ অবলীলাক্রমে আপন নানায়তনের অঙ্গপ্রত্যাঙ্গের ওজন রক্ষা প্রতিনিয়ত সম্পন্ন করচে; এই প্রকাণ্ড নৃত্য বলদেবের নৃত্যের মতো, মহাদেবের নৃত্যের মত, নটার নৃত্যের মতো নয়। একেই তুলনা করা যায় সেই আধুনিক কাব্যরীতির সঙ্গে গছ্যের সঙ্গে যার WIAA FSR] মেলে আর ACIS সঙ্গে GSAT | [৩২] যেদিন কাব্যসাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ দেখা দিল সেদিন প্রথম এই বেনোজল ঢুকল। অমিত্রাক্ষর ছন্দে কেবল যে মিল নেই তা নয়, তাতে পদের শ্রোতপংক্তি ভাগের বেড়া ডিডিয়ে পথ করে নেয় এবং থেমে যায় যেখানে সেখানে । তাতে চোখে লাইনের চিহ্ন দেখা যায়, কিন্তু কান বলে ও তো চিহ্ননাত্র ওখানে পেরোবার বাধা নেই। অবশেষে এমন দিন এলো, যখন চিহ্নের দোহাইটারও বল রইল না। কাব্য স্পষ্টই নিংসন্কোচে অসমান ভাগের পথে চলাফেরা VR করে দিলে । যে ভাগটার হাতে “AME নেই কবিতা প্রত্যেকবার তার সাম্নে যেতে আসতে থেমে দাড়িয়ে সেলাম করবার কোনো প্রয়োজন বোধ করলে না। আমার কাব্য রচনায় মানসীতে আমি সব প্রথম পয়ারের এই Te) নষ্ট করেচি। কবিতাটির নাম নিশ্ষল প্রয়াস, তাতে না| আছে মিল না আছে চোদ অক্ষরের তর্জনী সঙ্কেত । বোধকরি জনসাধারণের ভ্রকুটিকূটিল WF তখনো ভয় saga, সেইজন্য এঁ একবার মাত্র আচার ভঙ্গ করে ভালোমান্ুষের মতো



Leave a Comment