তার ছোটবেলা | Taar Chhotobelaa

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তার ছোটবেলা মুখ! ঠোটে হাসি নেই, ঘরের কোণে বসে থাকে ... ওকে দেখলে হঠাৎ যেন বার্ধক্যের কথাই মনে পড়ে যায় — এমনই এক বার্ধক্য যার গোড়ায় কোন শৈশব ছিল না। — জলে ভরা ভিজে কাঠ! নিজের one দুটো গুঁজে আগুন জ্বালাব নাকি! একশ'বার বলেছি, শুকনো কাঠ আনবে। তা, এ-বাড়িতে আমার কথা কেউ কানে নিলে তো! মায়ের গজগজানি Say কাছে এগিয়ে আসছে বুঝতে পেরে চমকে ওঠে ও। — এখানে দাঁড়িয়ে কি করছিস শুনি? বাইরে যেতে পারিস নে? দেখতে পাস না কিছু? কানা নাকি? ধোঁয়ার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন, দাদীর জন্যে দরদ একেবারে Bare উঠছে! খুব ভয়ে ভয়ে ও তাকায় মায়ের দিকে। ... মা, তুমি ডাইনি নও, তুমি আমার লক্ষ্মী মা। দেখো আমি তোমাকে ঠিক শুকনো কাঠ এনে দেব, নতুন জুতো কিনে দেব, নতুন কাপড় এনে দেব — এখন এখান থেকে চলে যাও না HL! ওর সেই ভয়চকিত দৃষ্টি আর FN ঠোটের ভাষা পড়তে পারলে হয়তো মমতায় তার মায়ের চোখেও জল আসত আর মা চুপচাপ চলে যেত সেখান থেকে — আগুন নিজেই জ্বলে উঠত, ধোঁয়ার কুণ্ডলি যেত মিলিয়ে আর কাশির বদলে হাসি দেখা দিত দাদীর মুখে। মা এক গেলাস জল এনে ধরত দাদীর মুখের কাছে, দাদী জলটা খাওয়ার আগে মায়ের মুখের দিকে চেয়ে আশীর্বাদ করত — জন্ম TA হও বাছা, দুধে ভাতে থাকো, বাড়বাড়সন্ত হোক ...! কিন্তু মায়ের ভিজে চোখ দুটো এখন অঙ্গারের মতো জ্বলন্ত! — বুড়ি মরবেও না, আমাকেও নিষ্কৃতি দেবে না। — ওফ ঈশ্বর! — যেদিন থেকে এসেছে, সেদিন থেকে সুখ-শান্তি সব গেছে। — হে দীনদয়াল! — মিছে কথা কিভাবে বলতে হয় শিখতে হলে এঁর কাছে আসা উচিত। — যে করবে তার যেন মরণ হয়। — যে পাতায় খান সেই পাতাই ফুটো করেন। — হে ঠাকুর, তুমি সব দেখছ! — উঃ ভারি একেবারে ধর্মাত্মা এসেছেন! ও দাঁড়িয়ে আছে সেইখানেই, এক কোণায়। একবার মায়ের দিকে দেখছে, একবার দাদীর দিকে। কখনও অস্থির চঞ্চল হয়ে উঠছে, আবার একটু পরেই শাস্ত হয়ে যাচ্ছে। যখন অস্থিরতা জাগে, ওর শিরাগুলো ফুলে ওঠে শক্ত হয়ে, মাথার ভেতরটা যেন একেবারে PI, শূন্য মনে হয়। তারপর যখন শান্ত হয়ে যায় তখন মনে হয় কেউ যেন শরীরের সমস্ত রস চুষে বের করে নিয়েছে। হঠাৎ ওর নজর পড়ল মায়ের দিকে। দেউড়ির ধোঁয়াটে আলোয় মায়ের চোখ



Leave a Comment