রবীন্দ্রনাথ ও সুভাষচন্দ্র | Rabindranath O Subhashchandra

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
এঁ দিনই (১৬ই জুলাই, ১৯২১) অপরাহ্ণ সুভাষচন্দ্র গান্ধীজীর সঙ্গে সাক্ষাং করেন | গান্ধীজী তাকে দেশবদ্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সঙ্গে সাক্ষাং করে তার নির্দেশানুযায়ী কাজ করবার পরামর্শ দিয়েছিলেন । কলকাতায় ফেরার পরই সুভাষচন্দ্র দেশবন্ধুর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যোগদান করেন । তিনি হলেন জাতীয় বিদ্যাপীঠের প্রথম অধ্যক্ষ। এর পর তার অসামান্য প্রতিভাবলে কিভাবে তিনি ভারতবর্ষের রাজনীতিক রঙ্গমঞ্চের প্রথম সারিতে স্থান করে নেন সে-ইতিহাস আজ সকলের কাছেই খুবই সুপরিচিত | কিন্তু এখানে যেটা লক্ষ্য করবার বিষয় সেটা হচ্ছে এই যে, ১৯২১ থেকে ১৯৩০--এই দীর্ঘ নয় বংসরের মধ্যেও রবীন্দ্রনাথ-সুভাষচন্দ্রের মধ্যে কোন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠল না । অবশ্য এর মধ্যে সুভাষচন্দ্র দু একবার কবির সঙ্গে দেখা-সাক্ষাং করলেও তার কাছে ঘনিষ্ঠভাবে এগিয়ে যাবার মত তেমন কোন আগ্রহ-আকর্ষণ অনুভব করেন নি | সম্ভবত তার অন্যতম কারণ এই যে, অসহযোগ আন্দোলন সম্পর্কে কবির মনোভাব ও বক্তব্য সুভাষচন্দ্রের ভালো লাগে নি । SRT দেশবস্গুর অসামান্য ব্যক্তিত্বের প্রভাবে তার রাজনীতিক চিন্তাধার৷ ও মানসিকতা ধীরে যীরে একটা অবয়ব নিচ্ছিল ৷ এবং অল্প কাল পরেই প্রায় সমস্ত দিক থেকেই তিনি দেশবদ্ধুকে “গুরু'র পদে বরণ করে নিয়েছিলেন ৷ প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, এর বেশ কিছু কাল আগে থেকেই crag রবীন্দ্রনাথের কাব্য ও সাহিত্যকৃতির এবং তার রাজনীতিক চিন্তার তীত্র সমাল্লোচনা করে আসছিলেন । ১৯২১ সালে ইউরোপ থেকে ফিরে আসার পর রবীন্দ্রনাথ গান্ধীজীর অসহযোগ-তত্তব, বয়কট ও চরকা-আন্দোলন Fra তীব্র সমালোচনা করলে তার প্রতিবাদে crag, শরৎচন্দ্র -( Bras), আচার্য pee প্রমুখের কবির বক্তব্যের BTA সমালোচনা শুরু করলেন | এই প্রসঙ্গে একটি তথ্যের উল্লেখ করব 1 ১৯২১ সালে ১০ই ডিসেম্বর crag, cave আজাদ, সুভাষচন্দ্র ও আরো কম্নেকজন নেতা গ্রেপ্তার হলেন wra কিছুদিন পরেই আমেদাবাদ কংগ্রেস অধিবেশনের কথা৷ এবং CHAR পূর্বেই এর সভাপতি নির্বাচিত 9



Leave a Comment