বইয়ের লেখক
Manilal Gangopadhyay - মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়,
Saurindra Mohan Mukhopadhyay - সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়
Saurindra Mohan Mukhopadhyay - সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়
বইয়ের আকার
47 MB
মোট পৃষ্ঠা
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)Som বর্ষ, প্রথম সংখ্যা ঘরের সংলগ্ন একটা AN ছাদ আছে, তাত
তুমি জান। সেই সময়, প্রকাণ্ড প্রকাও
টবে CATS aS, নারকেল প্রভৃতি উদ্ভান-
সুলভ খুব বড় বড় গাছ একটা নিলামে
কিনেছিলুম। crea নীচের বাগানে না
রেখে, ছাদের উপরে * উঠিয়েছিলুম। ae
কোথাও বা BHA মত ANTS করে,
কোথাও বা সারি-লারি সাজিয়ে, কোথাও বা
লতা-বিতান তৈরি করে, ছাদটাকে একটা
Sora পরিণত করেছিলুম। আর, কোকিল,
পাপিয়া, দোয়েল, wm, ভীমরাজ প্রভৃতি
সকল রকম গায়ক বিহঙ্গ আমার ছিল।
তাদের কলকুজনে, কুহততানে, AeA ছাদটা
অষ্টপ্রহর মুথরিত Fo) মার, নানাপ্রকার
স্তরভি-ফুলের সৌরভে চারিদিক আমাোদিত
জায়গাটা ভারতী-সেবার পক্ষে কেমন
অনুকূল হয়ে উঠল তা ত বুঝতেই পারচ।
কত cana মধুযামিনী Bra এই
ছাদে কাটিয়েছি | আমি তেতালায় যে-বরটিতে ব্্তুম,
সেখানে একটা গোল টেবিল, তার চারিধারে
খানকতক চৌকি । আর camry গায়ে
একট! পিয়ানো ছিল। রবি আমার fares
সঙ্গী (বালক-কবি তথন জগংৎ-কবি হন fa),
আর-এক কবি, আমার বাল্যবন্ধু অক্ষয় মধ্যে
মধ্যে এসে জুটূতেন। আমরা তিন জনে
যখন একত্র এই টেবিলের চারিধারে
বসতুম, কত গাল্-গল্প হত, কত কবিতা
পাঠ হত, কত গান বাজনা হত, গান হ্ত। কবির নীড় 4 aay হত, তার ঠিকানা নেই। পাখীর গানে
যেমন ছাদটা মুখরিত হত, এই দুই কবি-
বিহঙ্গের গানে ও কবিতা-পাঠে বৈঠক- খানাটাও তেমনি প্রতিধ্বনিত হত।
একদিন প্রাতে এই টেবিলে বসে
আমরা সাহিত্যালোচনা করচি--কি-শুভক্ষণে
আমার হঠাৎ মনে হল,--এই ছুই কবি-
বিহঙ্গ কেবল আকাশে-আকাশেই উড়ে
বেড়াচ্চে, ওদের মধুর গান আকাশেই বিলীন
হয়ে যাচ্চে । লোকালয়ের কোন কুঞ্জ-কুটারে
on যদি আশ্রয় পায় কিংবা একটা নীড়
বীধ্তে পারে, তাহলে কতলোকেঁ ওদের
AeA পান করে ক্বতার্থ হয়। এই কথা
মনে হবা মাত্র, দোতালায়* নেমে এলুম !
দোতালার দক্ষিণ-বারওায় আর-একটি
প্রবীণ বিহঙ্গরাজের আসন fer) আসনটি
জমিতে থাক্লেও তিনি স্বপ্নরাজ্যেই উধাও হয়ে
অষ্টপ্রহর বিচরণ করতেন। Sta স্ুললিত
অপুর্ব স্বরলহরীতে আমাদের সবাইকে মাতিয়ে
তুলেছিলেন । ব্ঝ্তেই পারচ তিনি cer
আমার প্রস্তাব শোনবা মাত্রই তিনি বাজি
হলেন, আর তখনি দেবী “ভারতী”কে আবাহন
করে তারই পুণাকুঞ্জে, নবীন কবি-বিহঙ্গদের
জন্য একটি নীড় বেধে দিলেন। সেই অবধি
দেবীর পুজা! অচ্চনা হয়ে আস্চে।
কিছুকাল পরে, দেবীর হাতের বীণাটি সোনা
দিয়ে বাধিয়ে দেওয়া হয়, তারপর এখন
আবার সেই স্বর্ণবীণাটি মণি-ভূষণে ভূষিত
হয়েছে । একেই বলে “মণি-কাঞ্চনের যোগ” |
শ্রীজ্যোতিরিজ্ঞনাথ ঠাকুর ৷ * কিছুকাল পরে, ভারী-ভারী টবের ভারে ছাদটা জখম হবে এইরপ আপত্তি ওঠায় ও are;
হওয়ায় Sy সেই গাছগুল পালিত-সাহেবকে উপহার-স্বরপ পাঠিয়ে দিয়েছিলুম |