সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা [বর্ষ-৭৪] | Sahitya-Parishat-Patrika [Vol. 74]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সংখ্যা ১ বাংল) গল্ঠরীতির জন্মকথ ৫ চিহ্ন ইংরেজি সাহিত্য হতে গ্রহণ করে বাংলায় ব্যবহৃত হুয়েছে। তাতে লেখ্যভাষ৷ বোঝার যে স্থুবিধ। আছে তা স্বীকৃত। সেই কারণে ঈশ্বরচন্দ্র বিষ্যাসাগরই প্রথম বাংলা গণ্ভরচনাম় প্রথম প্রবতিত করেন । তার 'বেতালপঞ্চবিংশতি'র দ্বিতীয় সংস্করণেই প্রথম বাংল৷ সাহিত্যে এই বিভিন্ন যষতিচিহ্নগুলি ৰাবহৃত হয়। সেই কারণেই তার পূর্ববর্তী রচনায় এগুলি পাওয়া যায় না। এইবার বিদ্যাসাগর রচিত “সীতার way গ্রন্থ হতে একটি অংশ উদ্ধৃত কর যেতে পারে ঃ “রজনী অবসন্ন হইল । মহুধি বাল্মীকি ata, মাহ্নিক সমাপিত ক্রিয়া, সীতা, কুশ, aq ও শিষ্যবর্গ সমভিব্যাহারে সভামওণ্ডুপে উপস্থিত হইলেন ৷ সীতাকে কঙ্কালমাত্রে পর্যবনিত দেখিয়া রামের aay বিদীর্ণ হইবার উপক্রম হইল । অতি কষ্টে তিনি উচ্ছলিত শোকাবেগের সংবরণে সমর্থ হইলেন, এবং না জানি আজ প্রজ্ালোকে কিরূপ আচরণ করে এই চিন্তায় আক্রান্ত হইয়া, একাস্ত আকুল হৃদয়ে কালযাপন করিতে লাগিলেন |” এই রীতিতে সংস্কৃত শব্দের প্রচুর ব্যবহার হলেও তার বাংলারূপ শর্ব হয়নি। এখানে ভাষায় আদৌ ড়তা নেই, তা স্বচ্ছ এবং ভাবের শক্তিমান বাহন হিসাবে কাজ করতে সক্ষম। এই ভাবেই বাংলা গন্ঠপাহিত্য বিদ্যাসাগরের হাতে বিকাশের পথে পরিণত রূপটি পায় | এরপর লিখিত বাংলা গদ্ভরীতির রূপের কিছু পার্থক্য লক্ষিত হয়। শিক্ষিত aera afas ভাষায় ক্রিয়াপদে বিভিন্ন বিভক্তিতে দীর্ঘ রূপগুলি সংকুচিত হয়ে গেছে। তায় ভিত্তিতে গ্রমণ চৌধুরী, লিখিত ভাষায় দীর্ঘ রূপগুলি বর্জন করে কথ্য ভাষার সহিত তার aes এনেছেন। লেখক হিসাবে তার নিজস্ব নাম ‘aay’ ছিল বলে এই রীতিকে বিভ্ভাসাগর eafes রীতি হতে পৃথক করবার জন্য ara রীতি' zai হয়। এই বাদ্ধিক গৌণ রূপের পরিবর্তন হলেও বিদ্যাসাগর প্রদত্ত yr রূপটি wea aca cies, এমন কি বর্তমান কালেও অনেক খ্যাতিমান লেখক বিষ্ঞাসাগরী রীতিতেই রচন] করে থাকেন। শরৎচন্দ্র তার একটি উজ্জল CHA | এইভাবে বিষ্ঞাসাগরের সাধনাই then গদ্ভধসাহিত্যের বিপুল সভাবনার পথ উদঘাটিত করে দিয়েছিল। তার প্রবর্তিত গদ্ভধরীতিকে অবলম্বন করেই বন্ধিমচন্ত্র তার রচনার মধ্য দিয়ে বাংলা waters একটি সম্মানিত ore অধিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। বন্কিমচন্দর Siz ahs লিখিত আকারে রেখে দিয়ে গেছেন। প্যারীচাদ মিজের stay ভূমিকায় বন্কিমচন্দ্রের একট মন্তব্য এই প্রসঙ্গে উল্লেখ কর| যেতে পারে : “এই সংস্কৃতাহ্সারিণী ভাষা প্রথম মহাত্মা ঈশ্বরচন্দ্র fort ও অক্ষয়কুমার area হাতে কিছু সংস্কার প্রাপ্ত হইল ৷ ইহাদিগের ভাষা সংস্কৃতাহসারিণী হইলেও তত দুর্বোধ্য নছে। বিশেষত বিস্তাসাগর মহাশয়ের ভাষ! অতি স্থমধুর ও মনোজ। তাহার পূর্বে কেহই এরূপ স্মমধুর বাংল গন্ধ লিখিতে পারে নাই এবং তাঁহার পরেও কেহ পাত্রে নাই 1”



Leave a Comment