ঝাঁপি | Jhanpi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ধাক্কা দিয়ে খুলে ভিতরে ঢুকে পাগলের মতো চিৎকার করতে। অতি কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে সে বলল, কখন উঠবে? তার কোনও ঠিক নেই। ও অনেক রাত অবধি জেগে পড়াশুনো করে। সকালে উঠতে অনেক দেরি হয়। কত দেরি? আটটা-নটা? বললাম তো তার কোনও ঠিক নেই। দশটা-এগারোটাও হতে পারে। ঠিক আছে। আমি তা হলে এগারোটার সময়ে আসব। ভদ্রমহিলা জবাব না দিয়ে পট করে দরজাটা বন্ধ করে দিলেন। জ্বলতে জ্বলতে নেমে এল জ্ঞান, এত রাগ, এত হতাশা এবং বুকভরা এত শূন্যতা সে কখনও নিজের মধ্যে টের পায়নি এতদিন। রাত থেকেই প্রায় উপোস করে ছিল সে। বন্যাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাগলের মতো এলোমেলো হাটল। সময় কাটতে চাইছিল না আর। হাটতে ইাটতে কালীঘাট রেলস্টেশনে এসে খানিকক্ষণ বসে রইল প্ল্যাটফমের একটা বেঞ্চে। কতবার যে মরতে ইচ্ছে হয়েছিল তার তা বলার নয়। বেলা এগারোটায় সে ফের হানা দিল বন্যাদের ফ্ল্যাটে। সেই ভদ্রমহিলাই ফের দরজা ফাক করে তাকে দেখলেন। কী চাই? আমি সকালে এসেছিলাম। বন্যা কি উঠেছে? সে তো একটু আগে বেরিয়ে গেল। বেরিয়ে গেল! আমার যে এগারোটার সময়ে আসার কথা ছিল! বলেননি? গলায় হয়তো fewer এবং রাগ দুটোরই প্রকাশ ঘটেছিল। ভদ্রমহিলা যেন চমকে উঠলেন। থতমত খেয়ে বললেন, বলেছি, ওর একটা জরুরি কাজ ছিল বলে বেরিয়ে গেছে। কোথায় গেছে? বলে তো যায়নি। তবে কোনও THA বাড়িতে পড়তে যায়। হঠাৎ ভদ্রতার মুখোশটা খুলে ফেলল জ্ঞান। তার ধৈর্য ছিল না আর। চিৎকার করে বলল, আপনি মিথ্যে কথা বলছেন! ও বাড়িতেই আছে। বোধহয় জ্ঞানের গলার স্বর আর চোখমুখের ভাব দেখে ভদ্রমহিলা ভয় পেয়ে গেলেন এবং টপ করে দরজাটা বন্ধ করে দিলেন। আধুনিক দরজা, বন্ধ করলেই লক হয়ে যায়। জ্ঞান এক মুহূর্ত অপেক্ষা করেই বার বার কলিং বেল বাজাতে লাগল। দরজা আর খুলল না। জ্ঞান তখন দুম দুম করে দরজায় প্রথমে ধাক্কা এবং তারপর কয়েকটা লাথি মারল। 20



Leave a Comment