প্রবাসী [ভাগ-৪৩] [খণ্ড-১] | Prabasi [Vol. 43] [Pt. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
mie রবীন্দ্রনাথের পত্রাবলী © স্মরণ করাইয়া দেন তবে বইগুলি আপনাকে « প্রবাহিত হচ্চে তাকে বহুদূরে * রেখে সংস্কৃত সরোবর থেকে ইতি ২২শে অগ্রহায়ণ ১৩১০ ভবদীয় শ্রীরবীন্দ্রন। ঠাকুর Qe e MATERA বাংলায় কথার ভাষা আর লেখার stay নিয়ে যে তর্ক কিছুকাল চলছে নাপনি আমাকে সেই তর্কে যোগ দিতে ডেকেছেন। আমার শরীর অত্যন্ত ক্লান্ত বলে এ কাজে আমি উৎসাহ বোধ করছি ca) সংক্ষেপে দুই একটা কথা বলব | কর্ণ অর্জুন উভয়ে সহোদর ভাই হওয়া সত্ত্বেও তাদের মধ্যে যখন জাতিভেদ ঘটেছিল, একজন রইল শ্ষত্রিয় আর একজন Vas, তখনি দুই পক্ষে ঘোর বিরোধ বেধে গেল । বাংলা লেখায় আর কথায় আজ সেই দ্বন্দ বেধে (HTH | এরা সহোদর অথচ এদের মধ্যে ঘটেছে শ্রেণীভেদ; একটি হলেন সাধু, আর একটি হলেন অসাধু | এই শে্রেণীভেদের কারণ ছিলেন ব্রাহ্মণ পণ্ডিত । সে কথাট! খুলে বলি | এক সময়ে বাংলায় পদ্ধ সাহিত্যই একা ছিল; 19 ছিল মুখে; লেখায় স্থান পায় নি। পন্যের ভাষা কোনো এক সময়কার মুখের ভাষার কাছ-ঘেষা ছিল সম্দেহ নেই-_ তার মধ্যে “ক্রিতেছিলাম" বা “আমারদিগের” “এবং* “কিছ্বা” “অথবা” “অথচ” “saga ভিড় ছিল al) এমন কি মুই» “করলু* “Cag” "মোসবার” প্রভৃতি =z পদ্য ভাষায় অপভাষা বলে গণ্য হয় নি। বলা বাহুল্য, এসরুল কথা কোনো এক সময়ের চলতি কথা ছিল। হিন্দী সাহিত্যেও দেখি কবীর প্রভৃতি কবিদের otal মুখের কথায় stray হিন্দীতে আর একদল কবি আছেন, খারা ছন্দে ভাষায় অলঙ্কারে সংস্কৃত ছাদকেই আশ্রয় করেচেন। পণ্ডিতদের কাছে এরাই বেশি বাহবা na | ইংরেজিতে যাকে ৪০০৮৮৪৮০০৪৪ বলে এ জিনিষটা তাই | হিন্দী প্রাকৃত যথাসম্ভব সংস্কৃত ছদ্মবেশে আপন প্রাকুতরূপ ঢাকা দিয়ে সাধুত্বের বড়াই করতে গিয়েচে। তাতে তার যতই মান বাড়ক al কেন, মধুরার stances ভিতর ফু দিয়ে সে বৃন্দাবনের বাশি বাজাতে পারে নি। যাহোক, যখন বাংলা ভাষায় «ote সাহিত্যের অবতারণা হ'ল তার ভার নিলেন সংস্কৃতক্ত পণ্ডিত। দেশের ছেলেমেয়েদের মুখে মুখে প্রতিদ্দিন যে গন্ধ বাণী , তারা নালা.কেটে যে ভাষার ধারা আনলেন তাকেই নাম দিলেন সাধুভাষা। বাংলা yo সাহিত্যিক ভাষাটা বাঙালীর প্রাণের ভিতর থেকে স্বভাবের নিয়মে গড়ে ওঠে নি, এটা ফরমাসে Aw] বাঙালীর রসময় wats ধিক্কার দিয়ে পণ্ডিতের লেখনী বলে উঠল গদ্ঠ আমি ze Faq তলব দিলে অমরকোষকে, মুগ্ধবোধকে। সে হল একট] Sate!) তার পর থেকে ভ্রমাগতই চেষ্টা চলচে কি ক'রে ভাষার ভিতরকার এই একটা বিদ্ঘুটে Baas মিলিয়ে দেওয়া যেতে পারে। বিদ্যাসাগর তাকে কিছু পরিমাণে মোলায়েম ক'রে আনলেন-- কিন্ত বঙ্গবাণী তবু বল্লেন “এই বাহু।” তারপরে এলেন afeq তিনি ভাষার সাধুতার চেয়ে সত্যতার প্রতি বেশি থেক দেওয়াতে তখনকার কালের পণ্ডিতের ছুই হাত তুলে বোপদেব অমরের দোহাই পেড়েছিলেন। সেই বন্ধিমের ছর্গেশনন্দিনীর ভাষাও আজ প্রায় মরা গাঙের ভাষা হয়ে এসেচে--এখনকার সাহিত্যে ঠিক cH ভাষার Cats চলচে না। অর্থাৎ বাংলা গদ্ভধসাহিত্যের গোড়ায় যে একটা original sin ঘটেছে কেবনি সেটাকে ক্ষালন করতে হচ্চে। cafacaa অভিমানে যে একটা হঠাৎ সাধুভাষা সর্বসাধারণের ভাষার সঙ্গে জল-চল বন্ধ ক'রে কোণ-ঘেষা হয়ে বসেছিল, অল্প অল্প ক'রে তার পংক্তিভেদ ভেঙে দেওয়া হচ্চে । তার জাত যায়-যায়। উভয় ভাষায় কখনো গোপনে sacar প্রকাণ্ঠে অসবর্ণ বিবাহ হতে AS হয়েচে। এখন আমরা চলিত কথায় অনায়াসে বলতে পারি “ম্যালেরিয়ায় কুইনীন ব্যবহার করলে AD ফল পাওয়া BI? পঞ্চাশ বছর আগে লোকের সঙ্গে ব্যাভার ছাড়া ব্যবহার কথাটা অন্ত কোনো প্রসঙ্গেই ব্যবহার করতুম না। তখন বলতুম, "ম্যালেরিয়ায় কুইনীনটা খুব খাটে» আমার মনে আছে আমার বাল্যকালে আমাদের একজন চাকরের মুখে “অপেক্ষা” কথাটা শুনে আমাদের ওগুরুজনরা খুব হেসেছিলেন। কেন-না, কেউ অপেক্ষা করচেন, একথাটা তারাও বলতেন U,— Stal বলতেন “অমুক লোক তোমার Bey বসে আছেন।” আবার এখনকার লেখার' ভাষাতেও এম্‌নি করেই . মুখের ভাষার ছাদ CHAM এগিয়ে চলছে। . এক ভাষার দুই অঙ্গের মধ্যে অতি বেশি প্রভেদ থাকলে সেই অস্বাভাবিক পার্থক্য মিটিয়ে দেবার জন্যে পরস্পরের মধ্যে কেবলি রফা চলতে থাকে | এ কথা সত্য ইংরেজিতেও মুখের ভাষায় এবং লেখার



Leave a Comment