চক খড়ি | Chalk Khari

কুয়োতলায় । রান্নাঘরের পিছনের অতিকায় তেঁতুল গাছটার সিঁথি-চূড়ায় পব আকাশের সগিঁদুরে আলো সব প্রথম পিছলে পড়লো একটুখানি । ধুধুর ডাক উঠলো আকাশে কেঁপে কেঁপে | কুয়াশার ঘোর কেটে গেছে | হষ বারবাড়ির উঠোনে গিয়ে দাড়ালো | ঘোষেদের পুকুর পার হয়ে রোদ এখানে সকলের আগে পোৌছায়, বাঁদিকে পশ্চিমের বিলটাও নজরে পড়ে নির্জলা মাঠের মত । এত Ace) আর দিগন্ত বিস্তৃত যে, তেপাস্তরের মাঠের কথাই মনে হয় Gorm দিতে গিয়ে | রোদ অবশ্য তখনও পৌছায় নি Steen sca ভিতরে ভিতরে কাঁপছিল হষ, কলকাতায় এই শীতের অনুমান পর্যস্ত পৌছায় না । নাকের ডগাটা মনে হয় টিকটিকির লেজের মত টুক করে খসে পড়ে যাবে। হাতের আঙুল OTN পকেটের মধ্যে প্রায় মরে রয়েছে। করতাল বাজছে He দাতে। পায়ে পায়ে মাঠের পথে অনেকটা এগিয়ে আসতে খেয়াল হল হর্ষর | কণন যে VTS WH করে দিয়েছে লক্ষা করেনি । একেবারে জটিবুড়ীর কুল পাঁছটার কাছে এসে সম্বিত হল । রাত্রে এই জায়গাটা তয়ের। একটু aca জটিবৃড়ীর কুঁড়ে att গাছপালায় প্রায় ঢাকা ober আসল নাম ডাকের মা। বড় বড় জট, বিড় বিড় করে সব সময় কি সব বকে। qt চামড়া Fores গেছে শুকনো 'আমের খোসার মত, জট সাদা ৷ বয়স কত কেউ জানে না। আগে আগে দিনের নালোতেও বুড়ীকে দেখলে ভয় করতো । আজকাল করেনা। তবে মাঝরাতে যখন এ তেল-সিদূর দেয়৷ কড়িগাছটার তলায় বসে কানার স্বরে মন্ত্র ছোঁড়ে আকাশে, তখন অন্ধকার বিছানায় লেপের নিচেও বুকটা হিম হয়ে যেতে বাকি থাকে না । মন্ত্র পড়ে কড়িগাছের তলাকার আসনে ভূত পেত নামায় জটিবুড়ী, কি বিকট তার মন্ত্র ৷ গাজনাব বিলের ওপর দিয়ে তার পতিংবনি ভেসে যায় দূরে বহুদূরে । হঠাৎ ডেকে ওঠা শেয়াল গুলো ATS ভয়ে স্তব্ধ হয়ে যায় তা শুনে । হষ পিসীকে জড়িয়ে ধরে IG করে । ঠিক কুলতলায় দাঁড়ালো না, গ্রামের অনেক ছেলেমেয়ে জড়ো হয়েছে সেখানে । রোদ পোহাতে আর কূল কুড়োতে । সকলেই প্রায় গরিব ঘরের ছেলেমেয়ে । শীতের তাড়নায় ঘরের বার হয়েছে, গায়ে পায় সকলেরই একটা করে MATA) চাদর বা ছেঁড়া শাড়ি | আকাশের সমস্ত রোদ যেন ঢেলে পড়েছে কুলতলায় । রঙ বে-রঙের পাখির ঝটা পটিতে আর Gers হাওয়ায় টুপটাপ করে পাকা কুল ঝরে পড়ছে গাছ তলায়। সবাই মহা উৎসাহে কূড়োচ্ছে আর নুন-লঙন্কার গুঁড়ো দিয়ে খাচ্ছে। হর্ষর লোভ হল, কিন্তু মার বারণ, সরস্বতী পূজোর আগে কুল খেতে নেই । খেলে বিদ্যে হয় না। হর্ষর খুব বিদ্যে হবে? কে জানে হতেও তো পারে। ছোট ৯৯